নিজস্ব প্রতিনিধি, হায়দরাবাদ: বৃদ্ধ বাবা-মায়ের দেখভালের কোনও দায়িত্ব পালন করেনি গুণধর দুই ছেলে। কিন্তু বাবার মৃত্যুর খবর পেলেই বাড়িতে ছুটে এসে সম্পত্তির বাঁটোয়ারা নিয়ে লড়াই শুরু করতে পারে এমন আশঙ্কায় সবার অগোচরে নিজের বাড়িতেই স্বামীকে পোড়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন কুর্নুল জেলার পাত্তিকোন্ডার বাসিন্দা ললিতা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পড়শিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ললিতা দেবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কিন্তু কেন এমন আঁতকে ওঠার মতো ঘটনা ঘটালেন মাঝ বয়সী ললিতা দেবী? পুলিশের জেরায় ধৃত মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে কুর্নুলের এক বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। আর ছোট ছেলে কানাডায় ঠাঁই গেড়েছে। আর্থিকভাবে স্বচ্ছ্বল হওয়া সত্বেও দুই ছেলের কেউই বাবা-মায়ের খোঁজ নেয় না। স্বামী হরিকৃষ্ণ প্রসাদের এজটা ওষুধের দোকান রয়েছে। কিন্তু শারীরিক আসুস্ততার কারণে অনেকদিন ওই দোকান খোলা যায়নি। ফলে সংসারে আর্থিক অনটন শুরু হয়।
সোমবার সকালে মৃত্যু হয় অসুস্থ হরিকৃষ্ণ প্রসাদের। আর স্বামীর মৃত্যুর খবর কাউকে না জানিয়ে বাড়ির মধ্যেই চিতা সাজিয়ে শেষকৃত্যের সিদ্ধান্ত নেন ললিতা। পড়শিরা বাড়ির ভিতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেই পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ বাড়ির মধ্যে জ্বলন্ত চিতা দেখে খানিকটা অবাক হয়ে যায়। ললিতাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ আধিকারিকদের অনুমান, ধৃত মহিলা মানসিকভাবে সুস্থ নন।