নিজস্ব প্রতিনিধি: বুধবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামের একটি গ্রাম থেকে উদ্ধার হল এক সেনা জওয়ানের গলাপচা দেহ। সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে ওই জওয়ানের নাম সাকির মঞ্জুর, যিনি গত বছর ২ অগষ্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সেনাবাহিনীর দাবি, রাইফেলম্য়ান পদে কর্মরত ওই জওয়ানকে সন্ত্রাসবাদীরা অপহরণ করেছিল। এরপর তাঁর ওপর চলে নির্যাতন। শেষে তাঁর মৃত্য়ু হলে তাঁকে কুলগামের ওই নির্জন এলাকায় ফেলে গিয়েছে।
বুধবার সকালেই শাকির মঞ্জুরের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর পরিবার দেহ শনাক্ত করেছে। নিহত জওয়ানের বাবা জানিয়েছেন, ছেলের পা দেখেই তিনি চিনতে পেরেছেন। ওই জওয়ানের বাবা দাবি করেছেন, গত এক বছর আমরা খুব কষ্টে কাটিয়েছি। এখনও কোনও ক্ষতিপূরণ পাইনি। তবে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, আইনি পথেই দেহ শনাক্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এজন্য় ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
গত বছর সোপিয়ান থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন সাকির মঞ্জুর। তাঁর গাড়িটি সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু ওই গাড়িতে কোনও দেহাবশেষ পাওয়া যায়নি। ফলে সেনাবাহিনীর দাবি, তাঁকে নিখোঁজ ঘোষণা করা হলেও নিয়ম অনুযায়ী পরিবার কোনও ক্ষতিপূরণ এবং বেতনের টাকা পাননি। উল্লেখ্য, একমাস আগেই সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, নিখোঁজ সেনা জওয়ান সাকির মঞ্জুরের এক এনকাউন্টারে মারা গিয়েছেন। এবং তাঁরা জানেন না দেহটি কোথায় রয়েছে। এবার ওই নিখোঁজ জওয়ানের দেহ উদ্ধার হওয়ায় রহস্য় আরও ঘণিভূত হল।