আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যশালী বিশ্ববিদ্যালয় ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এবার একটি ফটোশ্যুট করলেন। যা বিশুদ্ধবাদীদের চোখ কপালে তুলে দিয়েছে। কারণ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্যালেন্ডারের জন্য ওই ফোটোশ্যুট কার্যত নগ্ন হয়েই করেছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। কারও যৌনাঙ্গ ঢাকা টেনিস বলে বা কারও স্তনযুগল ফুটবলের আড়ালে। এই ফটোশ্যুট নিয়ে এখন উত্তাল নেট পাড়া। তবে নিছক মজা করে নয়, কেমব্রিজের পড়ুয়ারা এই নগ্ন ফটোশ্যুট করেছেন মহৎ উদ্দেশ্যেই। জানানো হয়েছে, এই ফটোশ্যুটের পর তৈরি ক্যালেন্ডার বিক্রি করেই তোলা হবে অর্থ আর সেই অর্থ তুলে দেওয়া হবে ঘরহারা, ক্যানসার আক্রান্ত কিশোর-কিশোরী ও পরিবেশ বা মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষায় কাজ করা সংস্থাগুলির হাতে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮ জন পড়ুয়া এই নগ্ন ফটোশ্যুটে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের ১২ দলে ভাগ করে হয় ছবি তোলা। এই পড়ুয়াদের মধ্যে অনেকেই অ্যাথলিট বা জিমন্যাস্ট। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল ও রাগবি দলের সদস্যরাও ছিলেন। এই ক্যালেন্ডারের ছবি তোলার দায়িত্বে ছিলেন অ্যান্ড্রিউ উইলকিনসন। তিনি জানিয়েছেন, এই ফোটোশ্যুটের কাজটা সহজ ছিল না। কারণ কোনও ছবিই স্টুডিওর ভিতর তোলা হয়নি। বরং কেমব্রিজ শহরের বিখ্য়াত এলাকা বা সৌধের সামনে প্রকাশ্যে তোলা হয়েছিল। ফলে নগ্ন পড়ুয়াদের দেখে অনেকেই লজ্জায় লাল হয়েছেন। কেউ বা আবার মাথা নীচু করে সরে পড়েছেন। আবার কৌতুহলি দর্শকরাও ভিড় করেছিলেন ফটোশ্যুট দেখতে। তবে তিনি আরও জানিয়েছেন, নগ্ন হলেও তা যাতে শালীনতার সীমা লঙ্ঘন না করে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হয়েছিল।
এই নগ্ন ফটোশ্যুটে কিন্তু কেমব্রিজের পড়ুয়াদের বেশ সাবলীল দেখিয়েছে। সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় ছবি তোলা এত সহজ কাজ নয়। তবে মহৎ উদ্দেশ্যের জন্য এটুুকু করতে পেরে গর্বিত ছাত্র-ছাত্রীরা। বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা দলবদ্ধভাবে ছবি তুলেছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আর্থ সায়েন্স মিউজিয়ামের সামনে। আবার গ্র্যান্ডচেস্টার মিডোস বা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিওলজি মিউজিয়ামের সামনে। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র হাতের উপর ভর দিয়ে উল্টো হয়ে দাঁড়িয়েছেন মহিলা-পুরুষ একাধিক জিমন্যাস্ট। নগ্ন হলেও কারও যৌনাঙ্গ দেখানো হয়নি, এতটাই শৈল্পিক ছবি।