24ºc, Haze
Thursday, 23rd March, 2023 3:41 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: কথায় বলে, অর্থই অনর্থের মূল। বাবা মারা যাওয়ার পরে পেনশনের টাকার ভাগ নিয়ে লড়াইতে মেতে উঠল কুসন্তানরা। আর ওই লড়াইয়ে টানা ৩৯ ঘন্টা বাড়ির উঠোনে অ্যাম্বুলান্সেই পড়ে রইল হতভাগ্য বাবার লাশ। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে সোমবার সকালে মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়। লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠানে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনির আহমেদ পদ্মা অয়েল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিনি গত বছর অবসর নেন। তাঁর তিন মেয়ে ও দুই ছেলে। ছোট ছেলে কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন। শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মনির আহমেদের। হাসপাতাল থেকে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলান্সে চাপিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তাঁর মৃতদেহ। শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হাজির হয়েছিলেন নিহতের তিন মেয়ে। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয়রা।
সবাইকে বিস্মিত করে দিয়ে এর পরে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন মনিরের স্ত্রী ও চার সন্তান। নিহতের স্ত্রী দিলুয়ারা বেগম ও বড় ছেলে জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ তোলেন, চিকিৎসার সময় মনিরের ব্যাঙ্ক থেকে ৩০ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছেন মেজ মেয়ে বেবি আক্তার। ওই টাকার হিসেব না দেওয়া পর্যন্ত লাশ কবর দিতে দেওয়া হবে না। যদিও টাকা তোলার কথা অস্বীকার করে ব্যাঙ্কে থাকা বাকি টাকা ভাগাভাগির দাবি তোলেন তিন মেয়ে। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা অ্যাম্বুলান্সেই পরে থাকে মনিরের নিথর দেহ। রবিবারও শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হস্তক্ষেপ করেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল আলমও। শেষ পর্যন্ত ৩৯ ঘন্টা বাদে মনির আহমেদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।