এই মুহূর্তে




স্বপ্নাদেশে শুরু দেবীর পুজো ! অকাল বোধন রূপে পুজিতা হন চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে




নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রত্যেক বছর পুজোর সময় সেজে ওঠে সামতার চট্টোপাধ্যায় বাড়ি। এই বাড়ির পুজো ২৬১ বছরে পড়ল। এখানে দেবী মূর্তির সামনে রাম ও হনুমানজির মূর্তি থাকে। দেবী এখানে অকাল বোধন রূপে পুজিতা হন। এই চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে পুজো শুরু হওয়ার আগে এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ইতিহাসই যেন কথা বলে। আজ থেকে প্রায় ২৬০ বছর আগে চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের একজন সদস্য মহেন্দ্রলাল চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘটেছিল এক অদ্ভূত ঘটনা।

একদা কোন এক রাতে কলকাতার গোবরায় কাজ করতেন ধর্মদাস চট্টোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠপুত্র মহেন্দ্রলাল চট্টোপাধ্যায়। একদিন ফিরতে ফিরতে অনেকটা রাত হয়ে যায়। তিনি কাজ সেরে রূপনারায়ণের পাড় ধরে বাগনানের দেউলটির সামতার বাড়িতে ফিরছিলেন।ঠিক সেই সময় তিনি অনুভব করেন, কেউ তাঁর পিছু নিয়েছেন। আশপাশে তাকালেও কিন্তু কাউকে দেখতে পান নি তিনি। বিষয়টাতে তিনি বেশ খানিকটা ঘাবড়ে যান।

কৌতূহলবশত তিনি প্রশ্ন করে ফেলেন। কে…? আর ঠিক সেইসময় হাওয়ার মত কানের কাছে এসে বলে যান, ‘বাড়িতে গেলেই বোঝা যাবে, আমি কে…’! বাড়িতে আসার পর মহেন্দ্রলাল দেখতে পান, দেওয়ালে টাঙানো রয়েছে দেবীর একটি ছবি। সেইদিনই রাত্রে স্বপ্নাদেশ পান দেবীর। এরপরেই বিনা আড়ম্বরেই বাড়িতে মা দুর্গার পুজো শুরু করেন। সেই থেকে নবরাত্রির এই পুজো চলে আসছে। ২৬০ বছর পার করে ফেলেছে চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজো।

আরও পড়ুন : নীলকন্ঠ পাখি উড়িয়ে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমা! কোন রাজবাড়িতে এই অদ্ভূত নিয়ম ?

এই বাড়িতে মহালয়ার পরের দিন থেকেই শুরু হয় পুজো। জন্মাষ্টমীর দিন মাটি তোলার পর দেবী প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়।এরপর ধাপে ধাপে প্রতিমা তৈরি থেকে রঙ করা হয়। সামতার চট্টোপাধ্যায় বাড়ির এই প্রতিমা ডাকের সাজের। এই সাজ আসে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের রাইন গ্রাম থেকে।

এই নিয়ে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের একজন সদস্য সুহাস চট্টোপাধ্যায় জানান,মহালয়ার পরের দিন দুর্গা মন্দিরের পাশে বাড়ির নারায়ণ মন্দিরে বেল ডালে পুজো শুরু হয়। এরপর নিয়ম করে নিত্যপুজো শুরু হয়। পরে দুর্গা দালানে পুজো হয়। আমাদের দেবী মূর্তির সামনে রাম ও হনুমানজির মূর্তি থাকে। এখানে দেবী অকাল বোধন রূপে পুজিতা হন।

সুহাস চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, এই পুজোয় ছাগল বলি ছাড়াও চালকুমড়ো ও আখ বলির চল এখনও চলে আসছে। সপ্তমীর দিন চালকুমড়ো বলির মাধ্যমে মায়ের চক্ষুদান হয়। পুজোর চারদিন অন্ন ও খিচুড়ি ভোগ ছাড়াও মহাষ্টমীতে লুচি ভোগ দেওয়া হয়। পুজোর শেষ হলে দশমীর দিন বাড়ির প্রতিষ্ঠিত পুকুরেই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : নীলকন্ঠ পাখী আসলে কী ? জানেন কী প্রতিমা বিসর্জনের আগে নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো হয় কেন ?




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যে দুর্গাপুজোয় মদ বিক্রিতে আবগারি দফতরের আয় বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ

Lakshmi Puja : এই মন্ত্র পাঠ করলে ভক্তের ওপর সদা সর্বদা প্রসন্ন থাকবেন মা লক্ষ্মী

জানেন কী কার অভিশাপে দেবী লক্ষ্মীকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল সমুদ্রগর্ভে?

নাচতে নাচতে মৃত্যু, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে করুণ পরিণতি যুবকের

বাবার খুনি ধরতে পুলিশে চাকরি মেয়ের, ২৫ বছর বাদে পাকড়াও করলেন কিলারকে

মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ, উৎসবের মরসুমে আকাশ ছুঁল সোনার দাম

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর