আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিশরে ৪ হাজার ৩০০ বছর পুরনো কবর থেকে সোনায় মোড়া মমি উদ্ধার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী কায়রোর দক্ষিণে সাক্কারার একটি পুরনো সমাধিক্ষেত্রের ১৫ মিটার গভীর খাদ থেকে মমিটি উদ্ধার করা হয়েছে। যে ব্যক্তির মমি উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর নাম হেকাশেপেস। মিশরের প্রাক্তন প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক মন্ত্রী তথা প্রত্নতত্ত্ববিদ জাহি হাওয়াস বলেন, ‘সাক্কারার সমাধিক্ষেত্র থেকে যে চারটি মমি উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলি খ্রিস্টপূর্ব ২৫ থেকে ২২ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ের।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’ জানিয়েছে, ‘রাজধানী কায়রোর দক্ষিণে সাক্কারা সমাধিক্ষেত্রটি তিন হাজারেরও বেশি পুরনো। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কেন্দ্র হিসেবে মর্যাদাও পেয়েছে। সম্প্রতি ওই সমাধিক্ষেত্রটিতে বিশেষ খননকার্য চালানো হয়। মোট চারটি কবরে খননকার্য চালানো হয়। আর ওই চারটি কবরের মধ্যে হেকাশেপেস নামে এক ব্যক্তির সোনায় মোড়া মমি পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি খুনমজেদফ, ফেতেক ও মেরি নামে আরও তিনজনের মমি মিলেছে। এদের মধ্যে খুনমজেদেফ ছিলেন পুরোহিত। মেরি ছিলেন মিশরের রাজপ্রাসাদের প্রাক্তন আধিকারিক। ফেতেক বিচারক ও লেখক ছিলেন। সবচেয়ে বড় মমিটি ছিল খুনমজাদেফের। শুধু চার জনের মমি যে উদ্ধার হয়েছে তাই নয়, প্রাচীন আমলের বেশ কিছু মৃৎপাত্র ও জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র থেকে প্রাচীন রাজাদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।’
পর্যটন শিল্পকে পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে গত কয়েক বছর ধরেই প্রাচীন শহর ও সমাধিক্ষেত্রগুলিতে বিশেষ খননকার্য চালানো হচ্ছে। আর সেই খননকার্যে একের পর এক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মিলেছে। চলতি বছরেই খুলে দেওয়া হচ্ছে গ্র্যান্ড ইজিপ্টিশিয়ান মিউজিয়াম। আগামী পাঁচ বছরে দেশে বিদেশি পর্যটকের সংক্যা তিন কোটিতে পৌঁছে যাবে বলে আশাবাদী মিশর পর্যটন মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা।