আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রকৃতির কত কিছুই বা আমরা জানি বা বুঝি। প্রাগৈতিহাসিক মানুষরাও একসময় নানান স্থাপত্য তৈরি করেছিলেন যা আমাদের কল্পনার বাইরে। প্রাচিন হরপ্পা, মিশর বা মায়া সভ্যতার অনেককিছুই আজও আবিস্কার হয়নি। এরমধ্যেই প্রত্নতাত্ত্বিকরা তুরস্কে আবিস্কার করলেন একটি অদ্ভুত নগরী। একটি পাহাড়ের নীচে মাটি খুঁড়ে বার করলেন ১১,০০০ বছরের পুরোনো শিল্পকৃতি। সেখানে দেওয়ালে তৈরি একটি মানুষের আকৃতির মূর্তি এবং লিঙ্গ আকৃতির স্তম্ভ পাওয়া গিয়েছে। যা প্রত্নতাত্ত্বিকদের অবাক করেছে। তাঁরা এই স্থাপত্যকৃতি নিয়ে এখনও গবেষণা করছেন। তবে এই প্রাচীন এলাকাটির সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।
এই স্থানটি দক্ষিণ তুরস্কের সানলিউরফা নামের একটি এলাকায়। জায়গাটির নাম কারহান্তেপে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা মনে করছেন এই প্রাচীন জায়গায় একসময় কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা কুচকাওয়াজ হতো। ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাগৈতিহাসিক বিশেষজ্ঞ নেকমি কারুল এই প্রত্নতাত্ত্বিক দলের প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, এই স্থাপত্যগুলি এবং দেওয়ালগুলি সেই সময়কার যখন মানুষ লিখতে শেখেনি। তিনি Türk Arkeoloji ve Etnografya Dergisi নামে তাঁর গবেষণাপত্রটি একটি জার্নালে প্রকাশ করেছেন।
তবে তিনি এটা প্রকাশ করেননি কেন এই মানুষের মুখের এবং লিঙ্গ আকৃতির স্থাপত্যগুলি তৈরি করা হয়েছিল। বা এগুলির পিছনে আসল উদ্দেশ্যই বা কী ছিল। তবে তিনি জানিয়েছেন, যেখানে এই মূর্তিগুলি পাওয়া গিয়েছে সেখানে একটি ভবন ছিল। যা তিনটি পৃথক ভবনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে সবকিছু দেখে তাঁর মনে হয়েছে এটি একটি জটিল কোনও বিষয়ের জন্য তৈরি হয়েছিল। তবে তিনি এও বলেছেন, এখনও অনেক খননকাজ বাকি, তাই আশা করা যায় আগামীদিনে এর রহস্য উদ্ধার করা সম্ভব হবে।