এই মুহূর্তে




শান্তিচুক্তির প্রথম ধাপে হামাস ও ইজরায়েল, উচ্ছ্বসিত গাজাবাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  ইজরায়েল ও হামাস গাজায় শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের চুক্তির বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ইজরাইল ও হামাস উভয়ই আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে স্বাক্ষর করেছে। এর অর্থ হল সকল বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইজরায়েল নিজের সেনাদের নির্ধারিত একটি সারিতে সরিয়ে আনবে।

ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন এই চুক্তিকে ইজরায়েলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন বলে অভিহিত করেছেন। এই চুক্তি অনুমোদনের জন্য বৃহস্পতিবার ইজরায়েল সরকার একটি বৈঠকের আয়োজন করেছেন। অন্যদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের  চুক্তিতে পৌঁছানোর কথা নিশ্চিত করেছে হামাস। শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে গাজা বাসীকে। ইজরায়েলও আনন্দ প্রকাশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বিরোধী এবং বন্দি মুক্তির চুক্তির সংবাদ উদযাপনের বিভিন্ন ভিডিও প্রচারিত হচ্ছে। ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সাঈদ মহম্মদ ইনস্টাগ্রামে সেই ভিডিওর কিছু ফুটেজ শেয়ার করেছেন।

তাতে দেখা যাচ্ছে দেইর আল বালাহ শহরের আল-আকসা হাসপাতালের বাইরে জনসাধারণ এসেছেন। গানের তালে তালে এবং শিস দিয়ে চলছে নাচ, পড়ছে প্রচুর হাততালি। সেইসঙ্গে আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে আকাশ বাতাস। আর এক সাংবাদিক মহাম্মদ আল হাদ্দাদের আর একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে গাজার অন্য একটি স্থানে তরুণেরা নাচছে, ব্যস্ত রয়েছে আনন্দ উদযাপনে।এই শান্তি চুক্তির জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন নেতা। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুতেরেস সকল পক্ষকে এই চুক্তির শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার এই শান্তি চুক্তির বিষয়টিকে স্বস্তিকর মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেছেন। সেই সঙ্গে বলেছেন যে গাজার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আমি স্বাগত জানাই। স্বাগত জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াও। তারাও সকল পক্ষকে চুক্তির শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এক বিবৃতিতে বলেছেন দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে সংঘাত বন্দি এবং সাধারণ মানুষের প্রাণহানির পর এই চুক্তি শান্তির দিকে নেওয়া এক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। আমরা সকল পক্ষকে পরিকল্পনার শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। অ্যান্থনি আলবানিজ ট্রাম্পের শান্তি স্থাপনের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং সমঝোতা আলোচনায় মিশর, তুরস্ক এবং কাতারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির ভূমিকার বিশেষ প্রশংসা করেছেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মায়ানমারের রাখাইনে অতর্কিতে হামলা আরাকান আর্মির, মৃত ৩০ জন জান্তা সেনা

সৌদি যুবরাজের জন্য বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন ট্রাম্পের, অতিথি এলন মাস্ক-রোনাল্ডো-অ্যাপলের সিইও

মর্মান্তিক! অস্ট্রেলিয়ায় ৮ মাসের গর্ভবতী ভারতীয় মহিলাকে পিষে মারল বিএমডাব্লু গাড়ি

লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত ১৩, আহত বহু

‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়’, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে সংযমী প্রতিক্রিয়া চিনের

বিশ্বজুড়ে ফের মুখ থুবড়ে পড়ল ‘এক্স’, চরম সমস্যায় ব্যবহারকারীরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ