নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাবার পরে ছেলে-মেয়ের কিংবা মায়ের পরে ছেলে-মেয়েরা প্রশাসনিক উত্তরসূরি হয়েছেন, এমন নজির রয়েছে ভুরিভুরি। কিন্তু ঢাকার অদূরে গাজীপুর নয়া ইতিহাস আর নজিরের সাক্ষী হলো। ছেলের পরে মেয়রের পদে বসলেন মা। আর যিনি ওই কীর্তি গড়ে এখন গোটা দেশের টক অফ দ্য কান্ট্রি হয়ে উঠেছেন সেই জায়েদা খাতুন অবশ্য এই কীর্তি গড়ার যাবতীয় কৃতিত্ব নিজের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকেই দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবারই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই নির্বাচনে দেশের শাসকদল আজমতউল্লা খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী জায়েদা খাতুন। তিনিই একমাত্র মহিলা যিনি শুধু গাজীপুর নয়, গোটা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় মহিলা হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। পুরোদস্তুর গৃহবধূ জায়েদা খাতুন রাজনীতি নিয়ে কখনও মাথা ঘামাননি। ছেলে জাহাঙ্গীর আলম এক সময়ে ছিলেন শাসকদল আওয়ামী লীগের দাপুটে নেতা। গাজীপুরের মেয়র হিসেবে দায়িত্বও সামলেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করার কারণে দল থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন।
সদ্য সমাপ্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কার্যত ছেলের ছায়া প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন জায়েদা খাতুন। শেষ পর্যন্ত ছেলের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ায় ভোটের আসরে শাসক দলের প্রার্থীর মূল প্রতিপক্ষ হয়ে যান। আর রাজনীতিতে নবাগত হয়েই বাজিমাত করেছেন ৬১ বছর বয়সী জায়েদা। তবে তাঁর এই জয়ের জন্য ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন গর্বিনী মা। কেননা, ভোটারদের বাড়ি যাওয়া থেকে শুরু করে প্রচার সভা, ভোটের দিন পোলিং এজেন্ট থেকে শুরু করে কাউন্টিং এজেন্ট বাছাই-সবটাই নিজের হাতে করেছেন ছেলে।