নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যৌন অপরাধী ও প্রয়াত আর্থিক মদতদাতা জেফরি এপস্টেইনকে কিশোরীদের উপর চালানো যৌন নির্যাতনে সহায়তা করার জন্য মঙ্গলবার ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলকে ২০ বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হল। একে এক ভয়ঙ্কর এক বিষয় বলে অভিহিত করেছেন। এবং এই ঘটনায় নির্যাতিতাদের কাছেও এটি একটি অপূরণীয় ক্ষতি বলে অভিহিত করেছেন।
ডিসেম্বরে প্রায় পাঁচটি অভিযোগে অভিযুক্ত হন ব্রিটিশ সোশ্যালাইট। তাঁর তৎকালীন প্রেমিক এপস্টাইনের সঙ্গে চারটি মেয়েকে ব্যবহার করে যারমধ্যে একটি ছিল নাবালিকা। সঙ্গে নারী পাচারের সঙ্গেও যুক্ত ছিল সে। এরকমই বহু অভিযোগ আসে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিন ম্যানহাটন ফেডেরাল আদালতে শুনানির দিন ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন ম্যাক্সওয়েল। সঙ্গে এও বলেছেন এপস্টেইন একজন অত্যন্ত ধূর্ত মানুষ ছিলেন যে কিনা প্রত্যেককে ঠকিয়েছে। সঙ্গে ম্যাক্সওয়েল এও বলে জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে দেখা হওয়া তাঁর জীবনের সবথেকে আক্ষেপের বিষয়।
বলা বাহুল্য এই ঘটনাটি ‘মি টু’ মুভমেন্টের মধ্যে সবথেকে হাইপ্রোফাইল একটি ঘটনা বলা যায়। ম্যাক্সওয়েলের শাস্তি ঘোষণশ করার সময়, মার্কিন সার্কিট বিচারক অ্যালিসন নাথান বলেন, ম্যাক্সওয়েল অনুশোচনা প্রকাশ করতে বা দায় স্বীকার করতে দেখা যায়নি৷
“ম্যাক্সওয়েল বহু বছর ধরে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের প্রলুব্ধ, করে এক এমন কাজে যোগ দিয়েছিলেন যা সমাজে এক জঘন্য প্রভাব ফেলে। এপস্টাইনের সঙ্গে সেও এক ভয়ঙ্কর পরিকল্পনায় অংশ নিয়েছিলেন। যৌন নির্যাতন, নাবালিকাকে পাচার করে দেওয়ার মত ঘটনায় বারবার নাম জড়িয়েছে তাঁর। মদত দিয়েছে সে এপস্টাইনের কার্যকলাপকে।
বিচারের সময় প্রায়শই আবেগপূর্ণ এবং স্পষ্ট সাক্ষ্যে, অ্যানি ফার্মার, “কেট” নামে পরিচিত একজন মহিলা এবং অন্য দু’জন মহিলা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে ম্যাক্সওয়েল, যিনি পাঁচটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, তিনি এপস্টাইনের দ্বারা তাদের অপব্যবহারের মূল ভূমিকা নিয়েছিলেন। ।
