এই মুহূর্তে




Bibhutibhushan Bandyopadhyay : নিজের মৃতদেহ সচক্ষে দেখেছিলেন বিভূতিভূষণ… কী ছিল রহস্য? 




পৃথ্বীজিৎ চট্টোপাধ্যায় : ‘প্ল্যানচেট’ একটি অদ্ভুত বিষয়। মূলত এটি হল মৃত ব্যক্তির বিদেহী আত্মাকে টেনে নিয়ে আসার এক প্রক্রিয়া। জানা যায়, প্ল্যানচেটের ধারণাটি বেশ পুরনো। ১৮৫৩ সালে অ্যালান কারডেক নামে এক ফরাসি ব্যক্তি দাবি করেন, সর্বপ্রথম তিনিই নাকি আত্মাকে ডেকে আনার উপায়টি আবিষ্কার করেছিলেন। পরবর্তী কালে বহু খ্যাতনামা ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞরা এই প্ল্যানচেটের বিষয়ে অনেক গবেষণা করে তথ্য দেন। তবে প্ল্যানচেট আর প্রেতসাধনা এক জিনিস না। আসলে প্ল্যানচেটের উদ্দেশ্য হচ্ছে মৃতদের আত্মার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা।

জানা যায়, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর এই প্ল্যানচেটেই গভীর ভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন প্রবাদপ্রতিম সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম স্ত্রী গৌরী দেবীর মৃত্যুর কিছুদিনের মধ্যেই একমাত্র বোন মণিকে হারিয়ে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলেন বিভূতিভূষণ। এরপর তিনি কলকাতায় চলে এলে একদিন টালিগঞ্জের কাছে এক সন্ন্যাসীর সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন তিনি । এরপর সেই সন্ন্যাসীর কাছ থেকে আত্মা-তত্ত্বের ব্যাখ্যা শুনেই বিভূতিভূষণের মাথায় পরলোক-চর্চার  ঘোর চেপে গিয়েছিল। সেই সন্ন্যাসীর কাছ থেকেই তিনি শিখেছিলেন প্ল্যানচেট তথা ‘মণ্ডল’। এরপর, আমৃত্যু এই পরলোক-চর্চাতেই মনোনিবেশ করেছিলেন তিনি। এই পরলোকচর্চার নেশাতেই তিনি যোগ দিয়েছিলেন কলেজ স্কোয়ারের থিওসফিক্যাল সোসাইটিতে। জনশ্রুতি আছে, প্ল্যানচেটে স্ত্রী গৌরীর সঙ্গে কথা বলাকালীন শোকে কেঁদে ফেলেছিলেন বিভূতিভূষণ।

বিভূতিভূষণ সম্পর্কিত ইতিহাসের পাতা ওল্টালে জানতে পারা যায় যে, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী কল্যাণীদেবীর বাবা ষোড়শীকান্ত ছিলেন একজন খ্যাতনামা তান্ত্রিক। ষোড়শীকান্তের কাছ থেকেও প্রেতচর্চা সম্পর্কে নানান শিক্ষার্জন করেছিলেন তিনি, যার উল্লেখ রয়েছে ‘তারানাথ তান্ত্রিক’ বইটিতেও। এছাড়া বিভূতিভূষণের ‘দেবযান’ উপন্যাসেও তাঁর পরলোক-চর্চার উল্লেখ স্পষ্ট।

জানতে পারা যায়, জীবনের একেবারে শেষ অধ্যায়ে এসে এক ভৈরবীর কাছেও শবসাধনার পাঠ নেওয়া শুরু করেছিলেন বিভূতিভূষণ। এমনকি  প্রেতাত্মাদের সঙ্গে নাকি নিয়মিত নিজের ঘোরেই কথা বলে যেতেন তিনি। একবার নাকি নিজের অসুস্থ ছেলেকে বুকে জড়িয়ে অদৃশ্য কাউকে তাঁকে বলতে দেখা গেছিল, “একে দেব না।” এরপর অনেকের সঙ্গে মিলে তিনি একবার ফুলডুংরি ঘুরতে গিয়েছিলেন। এই সময়েই তাঁর জীবনে ঘটেছিল সেই অবিস্মরণীয় অলৌকিক ঘটনা। হঠাৎ দলছুট বিভূতিভূষণ বনের মধ্যে একটি শববাহী খাটে সাদা চাদর মোড়া একটি মৃতদেহ দেখতে পান। চাদর সরাতেই কণ্ঠরোধ হয়ে আসে তাঁর। তিনি দেখেন সেই মৃতদেহ তাঁরই। তাঁর আর্ত চিৎকার শুনে ছুটে এসেছিলেন সবাই ও অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। এই ঘটনার কিছুদিন পরেই নশ্বর জীবন ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গাজায় ইজরায়েলের হত্যালিলার প্রতিবাদে ওয়াশিংটনের রাস্তায় গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ফিলিস্তিনি যুবকের

একই বৃন্তে দুইটি কুসুম, বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে নামাজ পড়া মুসলিমের মাথায় ছাতা ধরল হিন্দু পুলিশ কর্মী

বিয়ে হয়েছিল 57 বছর আগে, ভিডিও হাতে পেলেন 2024-এ

পুলিশকে দেখে খালে ঝাঁপ, ৩ ঘন্টার চেষ্টায় কচুরিপানার ভেতর থেকে আটক ধর্ষণের আসামি

বাংলাদেশ :৫০ হাজার বেশি ধান দিয়ে গড়া হল দু্র্গা প্রতিমা

কোল্ড ড্রিঙ্কস অমলেট! পুজোর কলকাতা মাতাচ্ছে নতুন স্ট্রীট ফুড

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর