নিজস্ব প্রতিনিধি, বাল্লারি: বাবা স্কুল ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য। যদিও তিনি মাধ্যমিক অনুত্তীর্ণ। এ বছরর ছেলের মাধ্যমিক ছিল। ছেলের সঙ্গে পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নেন বাবা। স্কুলের ম্যানেজমেন্ট কমিটি তাকে বইপত্র দিয়ে সাহায্য করে। শুরু হয় মন দিয়ে পড়াশোনা। ছেলেও বাবাকে সাহায্য করে। দুই পরীক্ষার্থীর ফল অত্যন্ত ভালো। পরিবার উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে। এমনই এক বিরল ঘটনার সাক্ষী কর্নাটকের বল্লারি জেলা।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ভরত গৌদ্রুর সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিলেন তার বাবা ৪১ বছরে সংমুগাপ্পা গৌদ্রু। জানা গিয়েছেন, সংমুগাপ্পা পেশায় একজন অন্নদাতা। নিজের জমি রয়েছে। দেবলপুরা গ্রামের একটি স্কুলের ম্যানেজকমিটির সদস্য।ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে তিনি জানিয়েছেন, স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য। অথছ মাধ্যমিকের গণ্ডী পার করতে পারেননি, সেটা তাকে মাঝে-মধ্যে পীড়া দিত। সে কারণে পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নেন। স্কল ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে তিনি তাঁর ইচ্ছার কথা জানালেন কমিটি সন্তোষ প্রকাশ করে। তাঁর হাতে তুলে দেয় বইপত্র। শুরু হয় পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি। দিনে চাষবাস করে বাড়ি ফিরে শুরু হয় পড়া। কোনও কিছু বুঝতে অসুবিধে হলে ছেলেকে জিজ্ঞাসা করতেন।
পরীক্ষায় বসার আগে কম-বেশি সব পড়ুয়ার একটু ভয়-ভয় করে। ৪১ বছরের সংমুগাপ্পা গৌদ্রুর ক্ষেত্রে তাঁর অন্যথা হয়নি। পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় তিনি পেয়েছেন ৬২৫-য়ের মধ্যে ৩০৭। জানিয়েছেন, আরও আগে থেকে পড়াশোনা শুরু করলে ফল ভালো হত।
আরও পড়ুন তিন কুলঙ্গারকে শিক্ষিত করতে নাস্তানাবুদ বাবা, ভর্তি হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ে