এই মুহূর্তে




কৃষ্ণনগরের বুড়িমার কাছে পুষ্পাঞ্জলি দিতে চান ? জেনে নিন সময়… 




পৃথ্বীজিৎ চট্টোপাধ্যায়: চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য বিখ্যাত হলেও বাংলায় জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন কিন্তু রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের তালুক কৃষ্ণনগরেই হয়েছিল। জানা যায়, কৃষ্ণনগরে রাজবাড়ির পুজো ছাড়াও আরও অনেক জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। তবে সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘বুড়িমার পুজো’। ভক্তদের অটুট বিশ্বাস, বুড়িমার কাছে ভক্তি ভরে কিছু চাইলে কাউকেই ফেরান না তিনি। তাই প্রতি বছর মনস্কামনা পূরণার্থে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন বুড়িমার দর্শন পেতে। এই পুজোর সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস হল মায়ের অলঙ্কারের সাজ। বুড়িমা পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, এ বছর তাদের পুজো ২৫২তম বর্ষে পদার্পন করেছে। পুজো কমিটি আরও জানিয়েছে , বুড়িমার পুজো এবছর শুরু হচ্ছে ৯ নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার থেকেই।

কথিত আছে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন করার পরেই ১৭৭২ সালে চাষাপাড়া বারোয়ারিতে এই পুজো শুরু হয়। তাই এই পুজো চাষাপাড়া বারোয়ারি পুজো নামেও পরিচিত। প্রতিবছরই মাকে প্রায় ১২ কেজি সোনার গয়না পরানো হয়। এবারেও তার ব্যতিক্ৰম হবে  না। এ বছর  ৯ তারিখ বেলা বারোটা থেকে মানসিক পুজোর সামগ্রী গ্রহণ শুরু হবে। এরপর সন্ধ্যায় হবে প্রতিমার অলঙ্করণ। তবে এবার ঠিক কখন এবং কোন সময় বুড়িমার পুজো হবে? কখন ভোগ হবে এবং কখনই বা প্রসাদ বিতরণ? সেগুলো জানা একান্ত বাঞ্ছনীয়। কারণ, প্রতিবছরই অগণিত ভক্ত দূর-দূরান্ত থেকে বুড়িমার কাছে পুজো ও পুষ্পাঞ্জলি দিতে ছুটে যান। তাই নিজেদের সুবিধার্থে জেনে নিন বুড়িমার পুজোর নির্ঘণ্ট।

পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ১০ তারিখ রবিবার সপ্তমীর পুজো শুরু হবে ভোর ৫:৫০ মিনিট থেকে। বেলা ৯:৩০ টায় হবে বুড়িমার পুষ্পাঞ্জলি। এরপর বেলা ১০:৩০ টায় অষ্টমীর পুজো আরম্ভ, বারোটায় হবে পুষ্পাঞ্জলি। নবমীর পুজো শুরু হবে দুপুর ১:৩০ টায়। তিনটে নাগাদ হবে বলিদান। এরপর বিকেল ৩:৩০ টায় হবে নবমীর পুষ্পাঞ্জলি। চারটেয় শুরু হবে বুড়িমার পুজোর আরতি ও হোম। সন্ধ্যা ছ’টায় হবে সন্ধ্যারতি। এর পর সোমবার অর্থাৎ ১১ নভেম্বর সকাল ৮:৩৬ টায় দেবীর দশমীর পুজো ও ঘট বিসর্জন হবে। বেলা ৩টা বেজে ২৮ মিনিটে বুড়িমাকে আসন থেকে নামানো হবে ও এরপর প্রতিমা নিরঞ্জনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা হবে। জানা গিয়েছে, চাষাপাড়া বারোয়ারির অন্ন মহোৎসব পুজোর দিন বেলা দশটা থেকে নির্দিষ্ট স্থানে এই অন্ন মহোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, পুজোর দিন বেলা দশ’টা থেকে বিকেল চার’টে পর্যন্ত নির্দিষ্ট স্থান থেকেই মায়ের প্রসাদ বিতরণ করা হবে। এবারও লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম ঘটবে বলেই আশা কমিটির। তাই বাড়তি নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন ও বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী থাকবে, যাতে কোনওরকম বিশৃঙ্খলার  সৃষ্টি না হয়। এছাড়াও জায়গায় জায়গায় নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা। পুজো কমিটি দূর দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সব রকম ব্যবস্থাই নিচ্ছে বলে জানা গেছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘রাখল হরি’, বাসের ধাক্কাতেও প্রাণে বাঁচলো যুবক!

মিলল না রফাসূত্র, আমজনতাকে বিপদে ফেলে ধর্মঘটে আলু ব্যবসায়ীরা

রামজীবনপুর পুরসভার কাউন্সিলরের স্ত্রী পেলেন ‘হাউস ফর অল’ স্কিমে বাড়ি

পানীয়ে গুটখা মিশিয়ে উদ্ভট রেসিপি আবিষ্কার বিক্রেতার, ‘বিমল শিকাঞ্জি’ দেখে থ মেরে গেলেন নেটিজেনরা

জাতীয় পতাকা সম্মান না করলে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা করবেন না ভারতীয় চিকিৎসক

নজরে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন, তৃণমূলের বিধায়কদের একগুচ্ছ দাওয়াই মমতার

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর