এই মুহূর্তে




এই গ্রামেই জন্ম দেবী সরস্বতীর,এখান দিয়েই স্বর্গের পথযাত্রা শুরু….




নিজস্ব প্রতিনিধি : কথায় আছে ‘রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী’..তবে রুপে কম লাবণ্যময়ী নন দেবী সরস্বতী। বলা হয় দেবীর সৌন্দর্য এমনই ছিল যে ব্রহ্মা এক মুহুর্ত ও না দেখে থাকতে পারেন না। শাস্ত্র অনুযায়ী দেবী সরস্বতী হলেন বিদ্যার দেবী। সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার মুখগহ্বর থেকে জন্ম হয়েছিল বিদ্যার দেবীর।শ্বেতপদ্মে আসীন দেবীর পরনে থাকে শ্বেতশুভ্র বস্ত্র। চার হাতে থাকে বীণা, রুদ্রাক্ষ ও পুস্তক। বিদ্যার দেবীকে দেখা যায় শ্বেতশুভ্র রাজহাঁসের পিঠে। অতীতে বিদ্যার দেবী নদীর দেবী বলা হত। বেদে সরস্বতী প্রধানত নদীর অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে পরিচিত ছিল। সরস শব্দের অর্থ জল। অতএব সরস্বতী শব্দের আদি অর্থ হলো জলবতী, অর্থাৎ নদী।

তবে স্বর্গে নয়, মর্ত্যেই নাকি প্রথম আবির্ভূতা হন সরস্বতী। জানেন কী কোন গ্রামে জন্মেছিলেন জ্ঞানের দেবী। বলা হয়, যোশীমঠ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মানা গ্রাম। এটিই ভারতের শেষ গ্রাম। ভৌগলিক অবস্থানের গুরুত্বের পাশাপাশি ধর্মীয় দিক থেকেও এই গ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মনে করা হয় যে এই গ্রামেই জন্ম হয়েছিল বিদ্যার দেবীর। মনে করা হয়, এই গ্রাম থেকেই স্বর্গের পথ শুরু হয়।

মানা গ্রামের অস্তিত্ব পাওয়া যায় স্বয়ং মহাভারতেও। মহাভারত অনুসারে মানা গ্রাম থেকে মহাপ্রস্থানের পথে যাত্রা করেছিলেন পঞ্চপাণ্ডব ও দ্রৌপদী। মানা গ্রামেই সরস্বতী নদী দেখা যায়। এখানেই গুহার মুখ থেকে তীব্র স্রোতে সরস্বতী নদীর অবিরাম ধারা বেরিয়ে এসে একটু পরেই পাতাল প্রবেশ করে। কিন্তু এই নদী দ্রৌপদী পেরোতে পারে নি। শেষ পর্যন্ত ভীম বিরাট এক পাথর ফেলে দ্রৌপদীর জন্য সেতু বানিয়েছিলেন। আশ্চর্যের বিষয় হল এখনও মানা গ্রামে গেলে সেই ভীম সেতু দেখা যায়। একইসঙ্গে এই সেতুর উপর বিরাট ২০ ফুট লম্বা পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। ধর্মীয় বিশ্বাস রয়েছে যে, এটি ভীমের পায়ের ছাপ।

আরও একটি আশ্চর্য বিষয় হল মানা গ্রাম ব্যাস গুহা রয়েছে আজও।মনে করা হয় মানা গ্রামে সরস্বতী নদীতে স্নান করার পর মহাভারত পুরাণ রচনা করেছিলেন ব্যসদেব। ই কারণে ব্যাস পুস্তক নামেও পরিচিত এই গুহা। এই গুহায় গাছের নীচে বসে মহাভারত লিখেছিলেন মহাকাল পুত্র গণেশ।

আরও পড়ুন : ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একবার জিহ্বায় থাকেন সরস্বতী,যা বলবেন তাই ফলে যাবে…

উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় অবস্থিত মানা গ্রাম। ছবির মতো সুন্দর এই গ্রাম। কি নেই এখানে..প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ এই গ্রামে পা না রাখলে বিশ্বাসই হতে চাইবে না।

আরও পড়ুন : সরস্বতীর কারণেই ৬ মাস ঘুমানোর বর পান কুম্ভকর্ণ, জানা আছে কী সেই কাহিনি…




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সাঙ্ঘাতিক ঘটনা, মোমো কারখানার ফ্রিজে মিলল কুকুরের কাটা মুণ্ডু

আচমকা বেঁচে উঠলেন মৃত ফুটবলার, তারপর যা হল…

লেহঙ্গার কারণে ২০ মিনিটের বেশি থমকে দাঁড়াল বন্দে ভারত, কোথায় ঘটল বেনজির কাণ্ড?

দুদিন ধরে মায়ের লাশ আগলে ছেলে, রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া এবার আলিপুরদুয়ারে  

টাকে চুল গজানোর ওষুধ ব্যবহার করে বিপত্তি, দৃষ্টিশক্তি হারানোর মুখে ৬৫ জন

মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময় আচমকাই রাস্তায় ষাঁড়, বরখাস্ত ১৬ পুরকর্মী

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর