এই মুহূর্তে




পাকিস্তানকে খুশি করতে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র প্রকল্প বাতিল করল ‘রাজাকার’ ইউনূস সরকার




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুক্তিযুদ্ধকে মুছে ফেলতে কোমর কষে ঝাঁপিয়েছে একাত্তরের পাক গণহত্যাকারীদের দোসর মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি থেকে শুরু করে স্বাধীনতা যুদ্ধের একাধিক সুতিকাগার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের একাধিক ভাস্কর্য। এবার বাঙালির গর্বের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের মুজিবনগরের   মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র প্রকল্প বাতিল করল। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমের বক্তব্য, ‘বর্তমান বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুধুই অতীত। বর্তমান প্রজন্মের কাছে কোনও মূল্য নেই। তাই মূল্যহীন কোনও কিছুকে আঁকড়ে ধরার নামে অর্থের অপচয় করবে না সরকার।’ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার যে প্রয়াস চলছে, তারই অংশ মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত।’

১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের ভবেরপাড়ার বৈদ্যনাথতলার (বর্তমান মুজিবনগরের) আম্রকাননে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে সরকার শপথ গ্রহণ করে। মুজিবনগর সরকার হিসাবেই পরিচিতি লাভ করে। সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এই স্থানের নামকরণ মুজিবনগর করেছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ পর্যন্ত মুজিবনগর ছিল সরকারের রাজধানী। মুজিবনগর সরকারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এখানে গড়ে তোলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স। শেখ হাসিনা জমানায় মেহেরপুরের মুজিবনগর কমপ্লেক্সটিকে আন্তর্জাতিক মানের স্মৃতিকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে ৫৭০ কোটি ২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা খরচ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প এলাকায় আরও ৫১ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এতে ৬টি শপথ চত্বর, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্য, ৬টি ভাস্কর্য উদ্যান, ১০টি ম্যুরাল, মুক্তিযুদ্ধ স্মারক ভাস্কর্য ও নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত বছর রাজনৈতিক পালাবদলের আগে দেশি-বিদেশি পর্যটক ও ইতিহাসের পড়ুয়াদের কাছে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স ছিল অন্যতম দর্শনীয় স্থান। ছুটির দিনগুলিতে কয়েক হাজার দর্শনার্থী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে ছুটে যেতেন।

কিন্তু গত বছর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মুজিবনগর কমপ্লেক্সে কয়েক দফা হামলা চালায় জামায়াত ইসলামীর সন্ত্রাসী ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা। অন্তত ৪০০ ছোট-বড় ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়। লুটপাট করা হয় দরজা-জানালাসহ নানা সরঞ্জাম। বার বার মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সটি সংস্কার করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রকের কাছে সুপারিশ করেছিল জেলা প্রশাসন। তাতে কোনও লাভ হয়নি। উল্টে স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব ইসরাত চৌধুরী দায়সারা গোছের জবাব দিয়ে বলেন, ‘নতুন প্রকল্পটি আপাতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সরকারের শীর্ষ মহল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার শেখ হাসিনার নাতি

‘তোমায়…..দিবা’, এনসিপি নেত্রীকে অশালীন প্রস্তাব ইউনূস ঘনিষ্ঠের, তোলপাড় বাংলাদেশ

একদিনেই ৫ ড্রিমলাইনার বিমান উড়ান বাতিল এয়ার ইন্ডিয়ার, আতঙ্কিত যাত্রীরা

খামেনির দশা হবে সাদ্দাম হুসেনের থেকেও খারাপ, হুঙ্কার ইজরায়েলের

মুক্তিযুদ্ধে একাই খতম করেছিলেন ৬ রাজাকারকে, না ফেরার দেশে বীরাঙ্গনা সখিনা

বাড়িতে পৌঁছল ভেঙে পড়া বিমানের পাইলটের দেহ, কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাবা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ