এই মুহূর্তে




আজও চার যুগের সাক্ষী বহন করে চলেছে এই সুপ্রাচীন গুহা মন্দির




পৃথ্বীজিৎ চট্টোপাধ্যায় : ভারতবর্ষ ঐতিহ্যের বিপুল সম্ভার। এদেশে এমন কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যা দেখলে আশ্চর্য না হয়ে উপায় নেই। এমনকী এদেশে এমন অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে, যা এখনও মানুষের বোধগম্যতার বাইরে এবং আজও মানুষ সেগুলির ব্যাখ্যা করতে পারেনি। তেমনই এক অবাককরা ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন হল মহারাষ্ট্রের আহমদনগর জেলার মলসেজ ঘাটে প্রায় ৪,৬৭০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত হরিশচন্দ্রগড়ের প্রাচীন পার্বত্য দুর্গ। জানা যায়, মৎস্যপুরাণ, অগ্নিপুরাণ ও স্কন্দপুরাণের মতো প্রাচীন ধর্মগ্রন্থেও এই পবিত্র স্থানের উল্লেখ রয়েছে।

জনশ্রুতি আছে, ষষ্ঠ শতকে কালাচুরি রাজবংশ এই হরিশচন্দ্রগড় দুর্গটি তৈরি করেছিল। তবে এই দুর্গের গুহাগুলি একাদশ শতকে খোদাই করা হয়েছিল বলেই মনে করা হয়। লোকমুখে প্রচলিত তথ্যানুসারে, মহাঋষি চাংদেব এই দুর্গের মন্দিরে গভীর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন বলেও মনে করা হয়। চর্তুদশ শতকের বিখ্যাত পাণ্ডুলিপি ‘তত্ত্বসার’-এ এর উল্লেখ পাওয়া যায়। ষষ্ঠদশ শতকে এই দুর্গ মোগলদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে অষ্টাদশ শতকে মরাঠারা এই দুর্গ পুর্নদখল করেন। মনে করা হয় এই দুর্গে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেকগুলি গুহা রয়েছে। তাদের মধ্যে মাত্র কয়েকটি খুঁজে পাওয়া গেছে।

তবে এই সমস্ত গুহাগুলির মধ্যে সব থেকে আকর্ষণীয় ও রহস্যময় হল কেদারেশ্বর গুহা। নাম শুনেই বোঝা যায় যে, এর সাথে দেবাদিদেব মহাদেব জড়িত। এই গুহা মন্দির হল একটি শিব মন্দির। এই মন্দিরে গেলে দেখা যাবে, এখানে একটি পাঁচ ফুট লম্বা শিব লিঙ্গ রয়েছে। মন্দিরের পূর্ব দিকে রয়েছে সপ্ততীর্থ পুষ্করিণী। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই পুকুরের জলে অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তোলার আশ্চর্য ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে। খোলা আকাশের নীচে থাকলেও গরমকালেও এই পুকুরের জল বরফজলের মতো ঠান্ডা থাকে।

জানা যায়, কেদারেশ্বর গুহায় প্রায় কোমর সমান উঁচু জল আছে। তারই মাঝে উপবিষ্ট সেই প্রাচীন শিবলিঙ্গ। অতি ঠান্ডা জলের জন্য শিবলিঙ্গের কাছে যাওয়াও বেশ কঠিন। গুহাটির আরও এক আশ্চর্যের বিষয় হল, এই মন্দিরের চার দেওয়াল‌ কোনও ছিদ্র না থাকলেও এই দেওয়ালগুলি দিয়ে জল গুহার ভিতরে ঢোকে। তাছাড়া গুহার শিবলিঙ্গের উপরেই রয়েছে একটি বিশাল শিলা, যার চার কোণে রয়েছে চারটি স্তম্ভ। তবে গুহা দাঁড়িয়ে একটিমাত্র স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে। বাকি তিনটি স্তম্ভই নীচের দিকে ভাঙা। হিন্দু সৃষ্টিতত্ত্ব অনুসারে এই চতুর্স্তম্ভ চতুর্যুগের প্রতিনিধিত্ব করে। বর্তমান স্তম্ভটি কলিযুগ বা চূড়ান্ত সময়ের প্রতীক। প্রাচীন কিংবদন্তি অনুসারে, এই শেষ স্তম্ভটি ভেঙে গেলেই পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে৷ এই কিংবদন্তিটি এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে যে প্রতিটি যুগের পরে একটি স্তম্ভ ভেঙে যায় এবং যখন কলিযুগ শেষ হবে, তখন শেষ স্তম্ভটিও ভেঙে যাবে, যার ফলে এই যুগচক্র শেষ হয়ে পুনরায় সত্যযুগের সূচনা হবে। 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বসা নিয়ে মহিলা যাত্রীদের মধ্যে বচসা-হাতাহাতি, ৪ মাসে মেট্রোর হেল্পলাইনে ২.৫ লক্ষ  ফোন

দারোগার কীর্তি, জেলে পোরার ভয় দেখিয়ে মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক

সব  খাবারেই অ্যালার্জি, কী খেয়ে  বেঁচে আছেন এই তরুণী ?  

দু’মাসে দুই বিয়ে, তরুণী স্ত্রীর সঙ্গে থাকার জন্যে থানার মধ্যেই দুই স্বামীর বিবাদ

ধিক্কার ! জোর করে শিক্ষিকাকে মদ- সিগারেট খাইয়ে হেনস্থা প্রধান শিক্ষকের

নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বন্যাকবলিত একাধিক বিড়ালকে উদ্ধার খুদের, কুর্ণিশ জানাল নেটজনতা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর