এই মুহূর্তে




জানেন কী, একটা নয়, দু- দু’টো বউ আছে চিরকুমার কার্তিকের ?




পৃথ্বীজিৎ চট্টোপাধ্যায় : কার্তিক হলেন বীরত্বের প্রতীক। তিনি দেবসেনাপতি, তিনি অতি সুপুরুষ। তিনি অপার শক্তিধর, কারণ তিনি মহেশ্বর ও পার্বতীর সন্তান। জানা যায়, ঋষিপত্নী কৃতিকা তাঁকে লালনপালন করেছিলেন বলে তাঁর নাম হয়েছিল কার্তিক। তবে বাংলায় লোকমুখে প্রচলিত আছে, কার্তিক নাকি আইবুড়ো। তিনি চিরকুমার। তবে এই তথ্যটি শুনে কী আপনাদের অবাক লাগেনা ? যে, এত সুপুরুষ ও শক্তিধর হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে কোনো পুরুষ অবিবাহিত হতে পারে? হ্যাঁ, এই সত্যিটা জানলে আপনি সত্যি সত্যিই অবাক হবেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে ঊষাকে ভালোবেসে বিয়ে না করলেও এরপর আরও দুই নারীর সাথে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন তিনি। কারণ, ছোট থেকেই তিনি ছিলেন ভালবাসার কাঙ্গাল। এক স্ত্রী থাকার পরেও ভালবাসা খুঁজতে ছদ্মবেশ ধরতেন তিনি। আদায় করে নিতেন কাঙ্খিত রমণীর প্রেম।

কথিত আছে, কার্তিক একটু বড় হয়ে যুদ্ধ শাস্ত্রে প্রবল পারদর্শী হয়ে উঠলে তিনি দেবতাদের কাছ থেকে তাঁর বংশপরিচয় জানতে পেরেছিলেন ও দেবতারা তাঁকে তারকাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পাঠিয়েছিলেন। কারণ, ব্রহ্মা তারকাসুরকে বর দিয়েছিলেন- একমাত্র শিবের ঔরসজাত পুত্র ছাড়া আর কেউ তাঁকে বধ করতে পারবে না। তাই সময়মত প্রবল পরাক্রমী তারকাসুর কার্তিকের হাতে বধ হলে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ দেবরাজ ইন্দ্র তাঁর মেয়ে দেবসেনার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন শিবপুত্র কার্তিকের। তাই তাঁকে আমরা বলে থাকি দেবসেনাপতি! অর্থাৎ দেবসেনার পতি। জানা যায়, বিয়ের পর স্ত্রী দেবসেনাকে নিয়ে কৈলাসেই ছিলেন কার্তিক। মা, বাবা আর ভাই গণেশের সঙ্গে সুখে দিন কাটছিল তাঁর। তবে হঠাৎ একদিন গণেশের সঙ্গে তাঁর এক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গণেশ বিজয়ী হয়ে প্রশংসিত হলে অভিমানে কৈলাস ত্যাগ করলেন সস্ত্রীক কার্তিক ও চলে এসেছিলেন দক্ষিণ ভারতে। সেখানেই তাঁর জীবনে আসে তৃতীয় প্রেম। 

প্রেমিক কার্তিক কিছুটা মনমরা হয়ে থাকতেন। এদিক ওদিক ঘুরতে ফিরতে একদিন তিনি দেখলেন, এক পাহাড়ি ক্ষেতে শস্য পাহারা দিচ্ছেন  একটি কালো মেয়ে! সে যতই কালো হোক, সেই মেয়ে ছিল পরমা সুন্দরী। কার্তিক পড়লেন প্রেমে। এক বৃদ্ধের ছদ্মবেশে গিয়ে নাম জানতে চাইলেন, জানতে চাইলেন পরিচয়। শুনলেন, সে সেখানকার উপজাতি রাজার মেয়ে। তার নাম বল্লী। এবার কার্তিক বল্লীকে বিয়ে করতে চাইলে সে কথা বলতেই রেগে আগুন হলেন বল্লী। তিনি যেখানে সদ্য যুবতী, তাঁর কেন এক বৃদ্ধকে মনে ধরবে ! বিপদ দেখে কার্তিক তখন স্মরণ করলেন ভাই গণেশকে। গণেশও তাঁর প্রিয় দাদার মনের কথা ভেবে এক মত্ত হাতির রূপ ধরে আটকে দাঁড়ালেন বল্লীর রাস্তা। বল্লীর আর উপায় নেই। মত্ত হাতির ভয়ে তিনি জড়িয়ে ধরলেন সেই বৃদ্ধকে। ভয়ে তাঁর দু’ চোখ বোজা। সেই অবস্থাতেও মরিয়া কার্তিকের দয়া হল না। তিনি আদায় করে নিলেন প্রতিশ্রুতি- হাতিটাকে তাড়াতে পারলেই বল্লী তাঁকে বিয়ে করবেন। নয় তো দু’জনেই মরবেন! তাই বাধ্য হয়েই রাজি হতে হয়েছিল  বল্লীকে। তবে বল্লী যখন চোখ খুললেন, দেখলেন সেই বৃদ্ধের জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক সুপুরুষ যুবক। এর পর আর বিয়েতে আপত্তি থাকার কথা নয়। বিয়ে হলও ধুমধাম করে। এবং, বল্লীর সঙ্গে দাম্পত্য আর প্রেম পূর্ণ ভাবে উপভোগ করার জন্য দক্ষিণ ভারতের ছয়টি স্থানে ছয়টি শস্ত্রাগার নির্মাণ করেছিলেন কার্তিক। যেখানে তৃপ্ত হবে তাঁর অস্ত্রচর্চা আর প্রেমচর্চা- দুইই। সেই তখন থেকে দক্ষিণ ভারতে আজও দুই স্ত্রী নিয়ে  মুরুগান নামে পূজিত হয়ে আসছেন কার্তিক। জানা যায়, চেন্নাই থেকে তিরূপতির পথে প্রায় ৭০ কিমি দূরে তিরূত্তাণিতে একটি ছোট্ট পাহাড়ের উপরে অবস্থিত মন্দিরে শ্রী কার্তিক তাঁর দুই স্ত্রী নিয়ে বিরাজ করছেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘রাখে হরি, মারে কে?’ বাসের তলায় চাপা পড়েও প্রাণে বাঁচল যুবক

পানীয়ে গুটখা মিশিয়ে উদ্ভট রেসিপি আবিষ্কার বিক্রেতার, ‘বিমল শিকাঞ্জি’ দেখে থ মেরে গেলেন নেটিজেনরা

পাল্টাচ্ছে বিয়ের রীতি, জুতো চুরির জন্যে বর পেলেন আড়াই কোটি টাকা, ভিডিও ঘিরে চর্চা

মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর আগে এই কাজ গুলো অবশ্যই করছেন তো ?

আবারও বিশ্বসেরা ‘স্ন্যাক্স’ জাতীয় খাবারের তালিকায় নাম উঠল ভারতের ‘চিকেন 65’

মন্দিরে ঢুকে হনুমানজির প্রসাদ খাচ্ছে এক বাঁদর, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে ভক্তির জোয়ার উঠল নেটদুনিয়ায়

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর