এই মুহূর্তে




দেবকুলের ইঞ্জিনিয়ার! স্বর্গলোক থেকে সোনার লঙ্কা! জানেন কী বিশ্বকর্মার আশ্চর্য আবিষ্কার সম্পর্কে ?




নিজস্ব প্রতিনিধি : হিন্দু পুরাণ অনুসারে, দেবকুলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেবতা হল বিশ্বকর্মা। আবার বলা হয় বিশ্বকর্মা হলেন স্বর্গলোকের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থপতি ও ভাস্কর। কারিগরি ও নির্মাণ শিল্পের দেবতা বলা হয় বিশ্বকর্মাকে। অন্যদিকে ঋগ্বেদ অনুযায়ী, বিশ্বকর্মা হল পরম সত্যের প্রতিরূপ, সৃষ্টিশক্তির দেবতা। হিন্দু পুরাণ মতে, সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলি যুগে বিশ্বকর্মার অমর কীর্তি ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকী তিনি মহাদেবের ত্রিশুল থেকে শুরু বজরংবলীর গদা, নারায়নের চক্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকের শক্তি ইত্যাদি তৈরি করেছিলেন।

এছাড়াও সত্যযুগে বিশ্বকর্মা তৈরি করেছিলেন স্বর্গলোক। এই প্রাসাদ থেকেই দেবরাজ ইন্দ্র মর্ত্যলোক শাসন করতেন। ক্রেতা যুগে বিশ্বকর্মা সৃষ্টি করেন সোনার লঙ্কা। দ্বাপর যুগে সৃষ্টি করেন দ্বারকা। কলিযুগে বিশ্বকর্মার অমর সৃষ্টি হল হস্তিনাপুর ও ইন্দ্রপ্রস্থ।

সোনার লঙ্কা : হিন্দু পুরাণ মতে ত্রেতা যুগে রাবণ রাজার রাজধানী সোনার লঙ্কা তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা। এই নিয়ে এক কাহিনী আছে। মহাদেব বিয়ের পর কৈলাসে থাকতে অস্বস্তি হচ্ছিল দেবী পার্বতীর। তখন দেবী লক্ষ্মীর পরামর্শে শিবের কাছে বায়না ধরেন প্রাসাদ নির্মানের জন্য। শেষে মহাদেব প্রাসাদ নির্মাণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন বিশ্বকর্মাকে।

আদেশমত স্বর্ণপ্রাসাদ নির্মাণ করেন বিশ্বকর্মা। তবে রাবণ ছিল শিবের বড় ভক্ত। তাই গৃহপ্রবেশের জন্য রাবণকে আমন্ত্রণ জানান মহাদেব। কিন্তু এত সুন্দর প্রাসাদ দেখে রাবণের লোভ হয়। তাই কৌশলে বর স্বরুপ মহাদেবের কাছে স্বর্ণলঙ্কা চান রাবণ। মহাদেবও তাঁকে লঙ্কা তুলে দেয়। সেই থেকে পরিচিত পায় এটি রাবণের লঙ্কা হিসেবে।

দ্বারকা :  বিশ্বকর্মার অনত্যম সৃষ্টি হল দ্বাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকা। মহাভারতে দ্বারকা হল কৃষ্ণের কর্মভূমি। হিন্দুদের অন্যতম দর্শনীয় ও পূজনীয় শহর দ্বারকা। এটি বিশ্বকর্মা নিজের হাতে বানিয়েছিলেন।

হস্তিনাপুর : হস্তিনাপুর হল কলিযুগে কৌরব ও পাণ্ডবদের রাজধানী। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পর ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরকে হস্তিনাপুরে অভিষিক্ত করেন শ্রীকৃষ্ণ। এই হস্তিনাপুর নির্মান করেছিলেন দেবশিল্পি বিশ্বকর্মা।

ইন্দ্রপ্রস্থ : পান্ডবদের শহর ছিল ইন্দ্রপ্রস্থ। একটি কাহিনী অনুসারে, ধৃতরাষ্ট্র যুধিষ্ঠিরের পাঁচ ভ্রাতুষ্পুত্রকে কুরু-রাজধানী হস্তিনাপুর থেকে কিছু দূরবর্তী যমুনাতীরবর্তী খাণ্ডবপ্রস্থে (ইন্দ্রপ্রস্থের আরেক নাম) বসবাস করতে বলেন।তখন যুধিষ্ঠির তাঁর ভাইদের সঙ্গে খাণ্ডবপ্রস্থে যান। সেখানে তিনি সৌধ নগর স্থাপন করেন, কালক্রমে তাই সাহিত্য ও ইতিহাসে যুধিষ্ঠিরের রাজধানী ইন্দ্রপ্রস্থ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে।

উল্লেখ্য, এছাড়াও বিশ্বকর্মা গ্রন্থ রচনাও করেছিলেন। এর মধ্যে হল স্থাপত্যশিল্প। এই বিষয়ক গ্রন্থটির নাম “বাস্তুশাস্ত্রম”। পুরাণ মতে, চারটি বেদের মতো চারটি উপবেদও আছে। উপবেদগুলি হল আয়ুর্বেদ, ধনুর্বেদ, গান্ধর্ববেদ এবং স্থাপত্যবেদ। এই উপবেদ স্থাপত্যবিদ্যা বা বাস্তুবিদ্যার রচয়িতা হলেন বিশ্বকর্মা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

৪০০ বছর ধরে কিশোরগঞ্জে বসে ‘ঢাকের হাট’, বাদ্য শুনে ভাড়া করা হয় ঢাকিদের

পুজোর মধ্যেই সরকারি বাসভবন থেকে উচ্ছেদ করা হল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে

মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ১৪টি শৃঙ্গ জয় করে রেকর্ড নেপালি কিশোরেরর

দুর্গার এই মন্ত্র জপুন, কেটে যাবে সব বিপদ-বাধা

বেলগাছকে দুর্গা রূপে পুজো, আজও বলির নিয়ম চলে আসছে শীল বাড়িতে

যোগী রাজ্যে পুলিশের সামনেই বিজেপি বিধায়ককে সপাটে চড় আইনজীবীর

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর