এই মুহূর্তে




‘কঠিন সিদ্ধান্ত’, এলাকার মানুষের জীবন বাঁচাতে ১২৫ টি কুমির হত্যা করল খামার মালিক




নিজস্ব প্রতিনিধি: কিছুদিন আগেই খরার প্রাদুর্ভাবে খাদ্য সংকট মেটাতে ২০০ হাতি মেরে ফেলেছিল জিম্বাবোয়ে বনদফতর। কয়েক বছরের খরার হাত থেকে মানুষদের বাঁচাতে এমনি কঠিন সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবোয়ে বনদফতর। পশু হত্যা রীতিমতো অপরাধ। কিন্তু মানুষকে বাঁচাতেই তাঁদের এমন উদ্যোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত হয়েছিল আবার কেউ কেউ তাঁদের কুর্নিশও জানিয়ে ছিলেন। এবার আরও জনজীবনকে বাঁচাতে আরও একটি বড় উদ্যোগ নিলেন উত্তর থাইল্যান্ডের একজন কৃষক। বর্তমানে থাইল্যান্ডে ভারীবর্ষণে জনজীবন বিপন্ন। আর এই বর্ষায় দেওয়াল ধসে যাতে কুমিরের ক্ষতি না হতে পারে এবং যাতে পালিয়ে মানুষদের ক্ষতি না করতে পারে সেই কারণে ১০০ টি কুমীরকে হত্যা করল উত্তর থাইল্যান্ডের ওই খামার মালিক। তাঁর ভয়, ভারী বন্যার কারণে কুমীরদের জন্যে দেওয়াল ধসে মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

সম্প্রতি লামফুনের ওই কুমির খামারের মালিক ন্যাথাপাক খুমকাদ ব্যাখ্যা করেছেন যে, কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে পুকুরে জল জমে দেওয়ালগু্লি ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যেখান কুমিরগুলি বসবাস করে। যার ফলে কুমিরগুলি স্থলে উঠে আসে। এবং তাঁরা যাতে বেরিয়ে না যেতে পারে, এসব ভেবেই নিজের খামারের ১২৫ টি কুমিরকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রায় তিন মিটার পর্যন্ত লম্বা। তিনি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন ছিলেন যে, সরীসৃপগুলি বেরিয়ে গিয়ে প্লাবিত গ্রামাঞ্চলে ঘোরাফেরা করতে পারে, সম্ভাব্য স্থানীয়দের এবং প্রাণীদের আক্রমণ করতে পারে। বা তাদের কারণে পুকুরের দেওয়াল ধসে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। শুক্রবার থাইল্যান্ডের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, বিধ্বংসী মৌসুমী বৃষ্টির পরে লামফুন প্রদেশে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ভূমিধস এবং বন্যায় ২০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছে।

সেই বিষয়ে ওই কৃষক বলেছেন, “এই বৃষ্টিপাতের ফলে যাতে কুমীরের কারণে কারও জীবনহানি না হয়, তাই ১২৫ টি কুমিরকে হত্যা করার মতো আমাকে আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। আমার পরিবার এবং আমি আলোচনা করেছিলাম যে প্রাচীরটি ধসে পড়লে মানুষের জীবনের ক্ষতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের চেয়ে অনেক বেশি হবে। এতে মানুষের জীবন এবং জননিরাপত্তা জড়িত হবে।” একটি ফেসবুক পোস্টে, ন্যাথাপাক খুমকদ কুমিরের পুকুরের ক্ষয়প্রাপ্ত দেওয়াল দেখিয়ে বলেছিলেন, “এটি প্রাথমিক কারণ ছিল যা আমাকে একটি জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছিল। সেদিন, অবিরাম বৃষ্টি হয়েছিল। জলের নিচের দেওয়ালটি ধসে পড়েছিল, যা বাইরের দেওয়ালের কাছে পৌঁছানোর খুব কাছাকাছি ছিল। যদিও তার কর্মীরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুকুরটি ঠিক করার জন্য এলাকাটি বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল, অবিরাম বৃষ্টি পরিস্থিতিকে বিপজ্জনক করে তুলেছে। এটি একটি সংকট ছিল যার জন্য একটি অত্যন্ত জরুরী সিদ্ধান্তের প্রয়োজন ছিল। আমাকে শেষ অবলম্বনটি ব্যবহার করতে হয়েছিল, যা ছিল তাদের জবাই করে খামার থেকে কুমিরগুলিকে অপসারণ করা। যদি এটি একেবারে প্রয়োজনীয় না হত, আমরা এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতাম না। সেই পরিস্থিতিতে এটি ছিল সবচেয়ে ভাল, দ্রুততম এবং নিরাপদ পদ্ধতি, এখনও অবিরাম বৃষ্টিপাতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।”




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ইজরায়েলি হামলার এক বছর পূর্তি, কোটি কোটি টন ধ্বংসস্তুপ নিয়ে বিপাকে গাজাবাসী

গাজায় ইজরায়েলের হত্যালিলার প্রতিবাদে ওয়াশিংটনের রাস্তায় গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ফিলিস্তিনি যুবকের

একই বৃন্তে দুইটি কুসুম, বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে নামাজ পড়া মুসলিমের মাথায় ছাতা ধরল হিন্দু পুলিশ কর্মী

বিয়ে হয়েছিল 57 বছর আগে, ভিডিও হাতে পেলেন 2024-এ

ড্রোন উড়িয়েই বিশ্ব রেকর্ড ক্যানসার আক্রান্তের

পুলিশকে দেখে খালে ঝাঁপ, ৩ ঘন্টার চেষ্টায় কচুরিপানার ভেতর থেকে আটক ধর্ষণের আসামি

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর