নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা: গত বছর এক খুনের ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল ত্রিপুরা। এক জনের হাতে খুন হন পাঁচজন। এই পাঁচজনের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য। বাকিদের মধ্যে একজন পথচারী, দ্বিতীয়জন পুলিশকর্মী। আদালত দোষীকে মৃত্যদণ্ডে দণ্ডিত করেছে।
মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৪০ বছরের প্রদীপ দেবরয়কে। পাঁচজনের মধ্যে দুইজন তাঁর মেয়ে। একজন বড় ভাই। খুনের ঘটনাটি ঘটে গত বছর। লোহার রড দিয়ে দুই মেয়ে অদিতি এবং মন্দিরাকে খুন করে প্রদীপ দেবরয়।দুই ভাইঝির খুন হয়ে যাওয়ার কথা কানে যায় প্রদীপ দেবরয়ের বড়ভাই অমলেশ দেবরয়ের। তিনি বাড়ি পৌঁছলে প্রদীব দেবরয় সেই লোহার রড দিয়ে অমলেশের মাথা ফাটিয়ে দেন। তিনজনকে খুন করে রক্তমাখা লোহার রড নিয়ে রাস্তা চলে আসে প্রদীপ। পথ চলতি মানুষকে রড দিয়ে মারতে শুরু করে।
ভয়াবহ দৃশ্য দেখে মানুষ আতঙ্কে পালাতে শুরু করে। প্রদীপের মারের হাত থেকে রক্ষা পাননি কৃষ্ণা দাশ নামে এক ব্যক্তি। তিনি এক সঙ্গীর সঙ্গে রিকশায় যাচ্ছিলেন। এমন ভয়াবহ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন খোওয়াই থানার অফিসার ইনচার্জ সত্যজিৎ মালিক। প্রদীপ তাঁকেও খুন করেন। পরে প্রদীপকে গ্রেফতার করতে বিশাল পুলিশবাহিনী সেখানে পৌঁছয়। কোনক্রমে তারা তাকে গ্রেফতার করে। প্রথমে সকলের মনে হয়ছিল প্রদীপ মানসিক ভারসাম্যহীন। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়ে সুস্থ মাথায় এতজনকে সে খুন করেছে। আদালত খুনিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
আরও পড়ুন নাগাল্যান্ড: জেল ভেঙে পালাল খুনে অভিযুক্ত-সহ নয় বন্দি