নিজস্ব প্রতিনিধি: পেশায় রিকশাচালক। সারাদিন ধরে খাটার পরে যা উপার্জন হয় তাতে সংসার চালাতে কার্যত হিমসিম খেতে হয়। কিন্তু রিকশাচালককেই আয়কর দফতর পাঠিয়েছে ৩ কোটির আয়কর নোটিশ। সেই নোটিশ হাতে পেয়েই কার্যত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে ওই রিকশাচালকের। কোনও উপায়ান্তর না দেখে শেষমেশ পুলিশেরই দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। সব শুনে পুলিশও হতবাক। কীভাবে এমন রিকশাচালককে কোটি টাকার আয়কর নোটিশ পাঠাতে পারে আয়কর দফতর সেটা কোনওমতেই বোধগম্য হচ্ছে না পুলিশের।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের। উত্তরপ্রদেশের মথুরার বাসিন্দা, পেশায় রিকশাচালক প্রতাপ সিং রবিবার আয়কর দফতরের তরফ থেকে একটি নোটিশ পান। সেই নোটিশে তাঁকে আদেশ করা হয়েছে, তিনি যেন ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৯৬ টাকা আয়কর দফতরে এসে জমা দেন। এই বিষয়ে আয়কর দফতরের তরফ থেকে একটি ফোনও তিনি পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই কার্যত আকাশ ভেঙে পড়েছে প্রতাপ সিংয়ের মাথায়। জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে এই নোটিশ পাওয়ার পরেই তিনি হাইওয়ে থানায় একটি জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাঁদের অনুমান, কেউ প্রতাপ সিংয়ের নাম এবং জিএসটি নম্বর ব্যবহার করে ওই ৩ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন। তারই ফলশ্রুতি এই নোটিশ।
আসল বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন ওই রিকশাচালক। তাঁর কথায়, চলতি বছরের প্রথমের দিকে প্রতাপের কাছ থেকে প্যানকার্ড চায় ব্যাঙ্ক। তাঁর কাছে প্যানকার্ড না থাকায় গত ১৫ মার্চ বাকলপুরে জনৈক তেজপ্রতাপ উপাধ্যায় জন সুবিধা কেন্দ্রে প্যানকার্ড বানানোর জন্য আবেদনপত্র জমা দেন। কিন্তু তাঁকে সেখান থেকে আসল প্যানকার্ডের জায়গায় একটি রঙিন ফটোকপি দেওয়া হয়। এরপর কয়েক মাসের চেষ্টায় শেষমেশ তিনি আসল প্যানকার্ড হাতে পান। প্রতাপের অভিযোগ, ওই সুবিধা কেন্দ্র থেকেই তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য বাইরে পাচার করা হয়েছে এবং সেগুলো ব্যবহার করেই কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে ফাঁসিয়েছে।