নিজস্ব প্রতিনিধি, দেরাদুন: জেলে থাকে অপরাধীরা। যারা দাগি অপরাধী, তাদের জন্য জেলে আলাদা থাকার ব্যবস্থা।
আর জেলের খাবার? যে খেয়েছে, সেই জানে। পেট ভর্তি করে খাওয়া পরের কথা। জেল আধিকারিক যে খাদ্যতালিকা দিয়ে দেবে, সেই তালিকা অনুসারে তাদের খাবার জুটবে। তবে জেলে থাকাকালীন যাদের আচার-আচরণে পরিবর্তন দেখা যায়, তাদের অনেককেই সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই পর্যন্ত ব্যাপারটা সব ঠিকঠাক রয়েছে। তাই বলে যারা ঘুরতে ভালোবাসেন তাদের জন্য জেলে রাত্রিবাসের সুযোগ? শুনতে খটকা লাগলেও উত্তরাখণ্ডের হাল্দওয়ানি প্রশাসন সেখানকার জেলে রাত্রিবাসের সুযোগ করে দিয়েছে। জেলে রাত্রিবাস করতে গেলে দিতে হবে পাঁচশো টাকা। প্রশাসনের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞাপন। বলা হয়েছে, মানুষ যাতে কোনওভাবেই অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে, সে ব্যাপারে সচেতন করতেই এই আজব পন্থা নেওয়া হয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, জেলে থাকতে গেলে পরতে হবে কয়েদিদের পোশাক। বন্দিদের যে খাবার খেতে দেওয়া হয় পর্যটক-বন্দিদের সেই খাবার দেওয়া হবে। বাইরো থেকে খাবার কেনা বা আনা নিষিদ্ধ। পাশাপাশি জ্যোতিষ যাদের হাত দেখে বলেছে, কপালে রয়েছে জেলের ভাত, তারা আগে থেকে জেলে থাকার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।
১৯০৩ সালে তৈরি হয় এই জেল। জেলকর্মীদের থাকার জন্য তৈরি করা হয়েছিল স্টাফ কোয়ার্টার। বর্তমানে সেটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেটাই তৈরি করা হয়েছে জেলের আদলে। পর্যটকদের সেখানে থাকতে হবে।