এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মাঝ সমুদ্রে ছিঁড়ল দম্পতির প্যারাসুটের দড়ি! তারপর?

নিজস্ব প্রতিনিধি: মধুচন্দ্রিমায় দিউতে বেড়াতে গিয়েছিলেন গুজরাতের দম্পতি  অজিত খাটাদ এবং সরলা খাটাদ। প্রথম প্রথম সব কিছুই ঠিক যাচ্ছিল। কিন্তু তাল কাটল প্যারাসেলিং করতে গিয়ে। সমুদ্র তীরবর্তী যে কোনও পর্যটন স্থলে সাম্প্রতিককালে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে এই ওয়াটার রাইডটি। এক্ষেত্রে একটি স্পিড বোর্ডের সঙ্গে দড়ি বেঁধে আরোহিকে প্যারাসুটের সাহায্যে হাওয়ায় উড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর জলে স্পিড বোর্ড যত এগোতে থাকে হাওয়ায় প্যারাসুটে ভাসতে ভাসতে আরোহীও তত এগোতে থাকে। অজিত এবং সরলাও প্রথম থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন যে দিউতে গিয়ে তাঁরা প্যারাসুটে চড়বেন। কিন্তু এই প্যারাসেলিং যে তাদের জন্য কত বড়ো বিপদ ডেকে আনতে পারে তা তাঁরা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করতে পারেননি। 

অজয় এবং সরলা চলতি রবিবার দিউয়ের নাগোয়া সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিলেন প্যারাসেলিং করতে। রাইডের প্রথম দিকে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও কিছুক্ষণ পরেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন তাঁরা দুজন। জানা গিয়েছে প্যারাসেলিং শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎই তাঁদের প্যারাসুটটিকে যে দড়ি দিয়ে স্পিড বোর্ডের সঙ্গে বাঁধা ছিল সেটি ছিঁড়ে যায়। এর ফলে তাঁরা আকাশ থেকে সরাসরি মাঝ সমুদ্রে গিয়ে পড়েন। 

তবে এই দুর্ঘটনায় অজিত এবং সরলা কারোরই কোনও বড়সড় আঘাত লাগেনি। লাইফ জ্যাকেট থাকার জন্য মাঝ সমুদ্রে পড়ার পরেও জলে এদুবে যাওয়ার মতো ভয়ংকর কোনও ঘটনা ঘটেনি। মানসিকভাবে সাংঘাতিক ভয় পেয়ে গেলেও ওই দম্পতি শারীরিক কোনও ক্ষতি হয়নি। 

রবিবার এই দুর্ঘটনাটি যখন ঘটে তখন ওই স্পিড বোর্ডে ছিলেন অজিতের দাদা রাকেশ। তিনিই ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রীর এই প্যারাসেলিং রাইডের একটি ভিডিও বানাচ্ছিলেন। কিন্তু রেকর্ডিং চালু থাকা অবস্থাতেই দড়ি ছিঁড়ে জলে পড়ে যান অজিত এবং সরলা। আকস্মিক এই ঘটনায় আতঙ্কে চিৎকার করতে শুরু করেন অজিতের দাদা। এই সমস্ত ঘটনার সাক্ষীই ফোনে তোলা ওই ভিডিও। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। 

তবে প্যারাসেলিং কতটা নিরাপদ সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক প্রশ্ন উঠলেও অজিত এবং রাকেশের অভিযোগ দিউয়ের সমুদ্র তীরে যারা ওই প্যারা সেলিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে চাননি। এই প্রসঙ্গে রাকেশ বলেন, ‘প্যারাসেলিং শুরুর আগেই আমার দড়িটি দেখে সন্দেহ হয়। আমি তখনই ওদের বলেছিলান। কিন্তু কেউই আমার কথায় গুরুত্ব দেননি। এমনকি দড়ি ছিঁড়ে আমরা যখন মাঝ সমুদে পড়ে যাই এবং আমাদের জল থেকে উদ্ধার করা তখনও তাঁরা বিষয়টিকে পাত্তা দিতে চাননি এবং জানিয়েছিলেন এই দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাতে কারোর কোনও ক্ষতি হয়নি কিংবা কেউ মারা যাননি।’  

 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তাজ্জব ঘটনা! দিব্যি বেঁচে, তবে ভোট কেন্দ্রে হাজির হয়ে শুনলেন তিনি মৃত

উধমপুরে বিয়ের পোশাকেই ভোট কেন্দ্রে হাজির নবদম্পতি

প্রথম দফার ভোটে ৪২ কেন্দ্রে লাল সতর্কতা

‘কে তুমি নন্দিনী?’ গ্যালারিতে থাকা তরুণীর রূপের ছটায় পাগল শুভমন গিল

১২ কিলোমিটার পাহাড়ি দুর্গম পথ পেরিয়ে ভোটকেন্দ্রে কর্মীরা

১৬ বছর হলেই করা যাবে লিঙ্গ পরিবর্তন, আইন পাশ সুইডিশ সংসদে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর