নিজস্ব প্রতিনিধি : বিবাহ মানে দুটি মনের মিলন,পরিবারের মিলন, তেমনই সামাজিক অঙ্গও বলা যেতে পারে। মেয়েরা বাপের বাড়িতে ছোট থেকে বড় হলেও সেই বাড়িতে তাঁদের অধিকার থাকে না। ওই যে প্রবাদ আছে, বিয়ের পর স্বামীর ঘরই আসল ঘর। এদিকে বাড়ির প্রত্যেক মা-ই চান তাঁদের মেয়ে সুখে সংসার করুক। আপনি কী জানেন মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর আগে কি উপায় করলে মেয়ের বিবাহিত জীবন সুখে কাটে ? অনেক মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে যেমন সুখ ও ভালোবাসার ছায়ায় সংসার করেন, তেমনই অনেকের কপালে জোটে দুঃখ-কষ্ট। তাই শ্বশুরবাড়িতে যাতে মেয়ের জীবন সুখে কাটে তার জন্য কয়েকটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

১)মেয়ের বিদায় বেলায় হলুদ রঙের পাত্রে গঙ্গাজল নিয়ে তাতে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নিন। এই জলে একটি তামার কয়েন রাখুন। তারপর এই কয়েন মেয়ের মাথায় সাতবার ঘুরিয়ে তাঁর সামনে ফেলে দিন। এর প্রভাবে মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে আনন্দে থাকবেন।

২) বিয়ের চার দিন আগে এই টোটকা করুন। এর জন্য ৭টি গোটা হলুদ নিন, এর সঙ্গে পিতলের কয়েন বা টুকরো, সামান্য জাফরান, গুড় ও ছোলার ডাল হলুদ কাপড়ে বেঁধে শ্বশুরবাড়ি যেদিকে, সেই দিকে ফেলে দিন। এমন করলে শ্বশুর-শাশুড়ির ভালোবাসা পাবেন আপনার মেয়ে।

৩) মেয়ের মা, মাসি, জেঠি বা কাকি তাঁর শ্বশুরবাড়ির দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে মেহেন্দি গুঁড়ো মেশানো কালো বিউলি ডাল ফেলে দিলে বিবাহিত জীবনে মেয়ের কোনও সমস্যা আসে না।

৪) বিবাহিত জীবন সুখ পেতে যে কোনও মাসের শুক্লপক্ষের প্রথম বৃহস্পতিবার স্নানের পর হলুদ বস্ত্র পরুন। এর পর তামার ঘটে জল ভরে তাতে গুড় ও বাটা হলুদ মিশিয়ে নিন। এবার একটি নারকেল, দুটো আটার লেচি, ছোলার ডাল ও গুড় নিন। এবার কলা গাছে হলুদের তিলক লাগান। তার পর কলার শিকড়ে ঘটে করে নিয়ে আসা জল দিন ও ধূপকাঠি দেখান। আটার লেচি, ছোলার ডাল ও গুড় গরুকে খাইয়ে দিন। বাড়ির কোনও শুদ্ধ স্থানে নারকেলটা রেখে দিন। জ্যোতিষবিদরা জানাচ্ছেন এর ফলে দাম্পত্য কলহ দূর হবে।