এই মুহূর্তে




‘আইবুড়ো কার্তিক’, এমন বলার নেপথ্যে সত্যিই কী কোনও কারণ লুকিয়ে ?




পৃথ্বীজিৎ চট্টোপাধ্যায় : বহুকাল ধরেই শ্রী কার্তিকেয় অর্থাৎ কার্তিককে নিয়ে নানান কথা ও রীতি রেওয়াজ প্রচলিত। কেউ বলে আইবুড়ো কার্তিক, কেউ বা আবার নব দম্পতির ঘরে কার্তিক প্রতিমা রেখে আসে তাদের সন্তান হওয়ার জন্য। আবার এমনও বলা হয়,‘কার্তিক ঠাকুর হ্যাংলা , একবার আসে মায়ের সাথে, একবার আসে একলা ’… তবে এটাও ঠিক যে, সৌম্যদর্শন যেকোনো পুরুষের সঙ্গে কার্তিক ঠাকুরের তুলনা করা হয়। কার্তিক মানেই বীরত্বের প্রতীক। তিনি একাধারে  দেবসেনাপতি ও দেবাদিদেব মহাদেবের পুত্র। কথিত আছে, ঋষিপত্নী কৃতিকা তাঁকে লালনপালন করেছিলেন বলে তাঁর নাম হয় কার্তিক। তাঁর অপর নাম স্কন্দ। পৌরাণিক কাহিনী মতে তারকাসুরকে বধ করতেই শিব-পার্বতী এই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। তবে কেন তাঁকে আইবুড়ো বলা হয়, তা জানেন কী ?

প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, একদা কিছু দুর্ধর্ষ দানবদের পরাজিত করে কার্তিক বাড়ি ফিরছিলেন ৷ এমন সময় এক রূপবতী দেবকন্যার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। কথাবার্তার মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে, সেই দেবকন্যার নাম ঊষা। ঊষাকে খুব ভালো লাগায় কার্তিক বিয়ের প্রস্তাবও দিয়ে ফেলেন ৷ এদিকে ঊষাও বীর কার্তিকের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। ঊষাকে সঙ্গে নিয়ে কৈলাশের কাছাকাছি পৌঁছান কার্তিক ৷ কিন্তু আচমকাই তাঁর মনে হয়, বাড়িতে বউ নিয়ে যাওয়ার আগে মায়ের সঙ্গে কথা বলা উচিত ৷ তাই ঊষাকে ধানখেতে দাঁড় করিয়ে রেখে তড়িঘড়ি দুর্গার কাছে যান কার্তিক ৷ কথা বলে মায়ের থেকে অনুমতিও নেন।  

কিন্তু মায়ের সেই অনুমতি নিয়ে একটু ধন্দে ছিলেন কার্তিক ৷ মনে উথালপাথাল হলেও তড়িঘড়ি বর সেজে ধানখেতের দিকে রওনা দেন তিনি ৷ কিন্তু আচমকাই তাঁর মনে পড়ে মাকে প্রণাম করা হয়নি ৷ আবারও বাড়ি ফিরে যান কার্তিক ৷ গোটা বাড়িতে মাকে খুঁজে না পেয়ে অবাক হয়ে যান ৷ অনেক খোঁজাখুঁজির পর রান্নাঘরে পৌঁছান কার্তিক ৷ সেখানকার দৃশ্য দেখে হতচকিত হয়ে যান তিনি ৷ তিনি দেখেন, মা দুর্গা সদ্য নিহত একটি মহিষ খাচ্ছেন ৷ “কেন এমন তাড়াহুড়ো করে মহিষ খাচ্ছেন মা?” কার্তিক প্রশ্ন করলে প্রত্যুত্তরে দেবী জানিয়েছিলেন, পুত্রবধূ যদি বাড়িতে এসে তাঁকে খেতে না দেয় এই আশঙ্কা বশত তিনি খাওয়াদাওয়া শুরু করেছিলেন। মায়ের কথা শুনে দুঃখ পান কার্তিক ৷ ঠিক করেন, তিনি ঊষাকে বিয়ে করবেন না।

এদিকে তখনও কার্তিকের জন্য ধানখেতে দাঁড়িয়ে রয়েছিলেন ঊষা ৷ অবশেষে তিনি জানতে পারেন কার্তিকের প্রতিজ্ঞার কথা ৷ প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত বদল করেন ঊষা ৷ দুঃখে ও লজ্জায় ধানখেতেই লুকিয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ৷ জানা যায়, কার্তিক মাসে আমন ধানের শিষ বেরোয় ৷ জনশ্রুতি আছে, ওই ধানের শিষকেই নাকি ঊষা মনে করা হয় ৷ তাই কার্তিক পুজোয় নতুন আমন ধানের শিষ ব্যবহার করা হয়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রিল বানাতে গিয়ে মায়ের অজান্তেই রাজপথে পৌঁছে গেল শিশু, ভিডিও ঘিরে তোলপাড়

‘অতি ভক্তি….’, চুরির সময়ে ভগবানের ছবি চোখে পড়তেই ক্ষমা চেয়ে নিলেন চোর বাবাজি

নগ্ন ছবি পাঠিয়ে ছাত্রকে যৌন সঙ্গমের ইচ্ছাপ্রকাশ, গ্রেফতার শিক্ষিকা

মোল্লা ইউনূস ও তার গ্যাং’কে নিয়ে বাংলাদেশের সমাজমাধ্যমে তোলপাড় ফেলেছে যে ছবি

জাঁকিয়ে শীত পড়ার আশঙ্কায় আগাম গরম জামা কাপড় কেনার ভিড় জেলা জুড়ে

ধনকুবেরদের নিরিখে বিশ্বে তৃতীয়  স্থানে ভারত, এক বছরে ধনীর সংখ্যা বেড়েছে ৪২ শতাংশ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর