সাবধান! করোনাভাইরাসের নয়া স্ট্রেনের নতুন ৭ লক্ষণ
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: এক করোনায় রক্ষে নেই, তার দোসর হয়ে হাজির হয়েছে নয়া প্রজাতির ভাইরাস। দেশে ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে শনাক্ত করোনার নয়া স্ট্রেন থাবা বসিয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। মহারাষ্ট্র, কেরল, ছত্তিশগড় সহ একাধিক রাজ্যে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী। করোনার নয়া স্ট্রেন দেশে বেনজির তাণ্ডব চালাতে পারে আশঙ্কা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।
২০১৯ সালে চিনের উহানে যখন প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়ে পড়েছিল এবং গোটা বিশ্বে থাবা বসাচ্ছিল, তখন মারণ ভাইরাসের প্রধান তিনটি লক্ষণ ছিল- কাশি, জ্বর ও স্বাদ-গন্ধ বুঝতে না পারা। কিন্তু বর্তমানে যে করোনার নয়া স্ট্রেন থাবা বসিয়েছে, তাতে একাধিক লক্ষণ রয়েছে। ফলে অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে সাধারণ মানুষকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক নতুন স্ট্রেনের লক্ষণগুলি-
ব্রিটেন থেকে ছড়ানো এই নয়া স্ট্রেনের সাতটি নতুন লক্ষণ রয়েছে। এই লক্ষণগুলি দেখে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা যায় যে কেউ এই স্ট্রেনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা। এগুলি হল- গলা খুসখুস করা, মাংসপেশী ব্যাথা, গাঁটে ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, ডাইরিয়া, কনজাংক্টিভাইটিস ও ত্বকের শুষ্কতা।
জানা গিয়েছে ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ছড়ানো নতুন স্ট্রেন আগের করোনাভাইরাসের তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা পরিষেবা (এনএইচএস) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুরনো লক্ষণের সঙ্গে নতুন লক্ষণও প্রকট হচ্ছে সংক্রামিত ব্যক্তির শরীরে।
এনএইচএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি কারও দেহের তাপমাত্রা সামান্যর চাইতেও বেশি হয় তবে শিগগিরই তাঁকে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। এটি খুবই সামান্য লক্ষণ হলেও কোনও ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কিনা জানা সম্ভব। এমন অনেক ঘটনাও সামনে এসেছে যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে এই সমস্ত লক্ষণ খুবই স্বল্প মাত্রায় দেখা গিয়েছিল।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দাবি, করোনার লক্ষণ সামান্য সর্দি-জ্বর থেকেও ধরা পড়তে পারে। সামান্য সর্দি হলে বা জ্বর কয়েকদিন ধরে না ঠিক হলে অবশ্যই কোভিড পরীক্ষা করানো দরকার। সেইসঙ্গে রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত অন্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন। সম্ভব হলে একদম আলাদা থাকতে হবে। যতটা সম্ভব জল খেতে হবে যাতে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে।
অন্যদিকে নীতি আয়োগের সদস্য বি কে পাল জানিয়েছেন, ‘ব্রিটেনের করোনা স্ট্রেন সার্স-কোভ-২ তে এখনও পর্যন্ত দেশে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮৭ জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া স্ট্রেনে ৬ জন ও ব্রাজিলে শনাক্ত হওয়া নয়া স্ট্রেনে ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এখনও পর্যন্ত ৩৫০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।’
এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস ১২ বার রূপান্তরিত হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই বদলগুলি হয়েছে জেনেটিক দিক থেকে। ১২ টি রুপান্তরের মধ্যে ৯ টি গুরুতর প্রকৃতির বলে জানা গিয়েছে। কানাডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েট জার্নালে এই নয়া স্ট্রেনটির লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হয়। সেখানেই ৭০ হাজার আক্রান্তকে বিভিন্ন বিভাগ অনুযায়ী আলাদা করা হয়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মোট ৭০২৮৮ আক্রান্তের মধ্যে ৫৩.৪ শতাংশ মানুষ চিকিৎসাধীন, ৪.৭ শতাংশ আক্রান্তকে আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৬.৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের হার ৮১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশে ৪৩ শতাংশ, পঞ্জাবে ৩১ শতাংশ, জম্মু-কাশ্মীরে ২২ শতাংশ এবং ছত্তিশগড়ে ১৩ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে।
২০১৯ সালে চিনের উহানে যখন প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়ে পড়েছিল এবং গোটা বিশ্বে থাবা বসাচ্ছিল, তখন মারণ ভাইরাসের প্রধান তিনটি লক্ষণ ছিল- কাশি, জ্বর ও স্বাদ-গন্ধ বুঝতে না পারা। কিন্তু বর্তমানে যে করোনার নয়া স্ট্রেন থাবা বসিয়েছে, তাতে একাধিক লক্ষণ রয়েছে। ফলে অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে সাধারণ মানুষকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক নতুন স্ট্রেনের লক্ষণগুলি-
ব্রিটেন থেকে ছড়ানো এই নয়া স্ট্রেনের সাতটি নতুন লক্ষণ রয়েছে। এই লক্ষণগুলি দেখে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা যায় যে কেউ এই স্ট্রেনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা। এগুলি হল- গলা খুসখুস করা, মাংসপেশী ব্যাথা, গাঁটে ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, ডাইরিয়া, কনজাংক্টিভাইটিস ও ত্বকের শুষ্কতা।
জানা গিয়েছে ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ছড়ানো নতুন স্ট্রেন আগের করোনাভাইরাসের তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা পরিষেবা (এনএইচএস) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুরনো লক্ষণের সঙ্গে নতুন লক্ষণও প্রকট হচ্ছে সংক্রামিত ব্যক্তির শরীরে।
এনএইচএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি কারও দেহের তাপমাত্রা সামান্যর চাইতেও বেশি হয় তবে শিগগিরই তাঁকে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। এটি খুবই সামান্য লক্ষণ হলেও কোনও ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কিনা জানা সম্ভব। এমন অনেক ঘটনাও সামনে এসেছে যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে এই সমস্ত লক্ষণ খুবই স্বল্প মাত্রায় দেখা গিয়েছিল।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দাবি, করোনার লক্ষণ সামান্য সর্দি-জ্বর থেকেও ধরা পড়তে পারে। সামান্য সর্দি হলে বা জ্বর কয়েকদিন ধরে না ঠিক হলে অবশ্যই কোভিড পরীক্ষা করানো দরকার। সেইসঙ্গে রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত অন্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন। সম্ভব হলে একদম আলাদা থাকতে হবে। যতটা সম্ভব জল খেতে হবে যাতে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে।
অন্যদিকে নীতি আয়োগের সদস্য বি কে পাল জানিয়েছেন, ‘ব্রিটেনের করোনা স্ট্রেন সার্স-কোভ-২ তে এখনও পর্যন্ত দেশে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮৭ জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া স্ট্রেনে ৬ জন ও ব্রাজিলে শনাক্ত হওয়া নয়া স্ট্রেনে ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এখনও পর্যন্ত ৩৫০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।’
এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস ১২ বার রূপান্তরিত হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই বদলগুলি হয়েছে জেনেটিক দিক থেকে। ১২ টি রুপান্তরের মধ্যে ৯ টি গুরুতর প্রকৃতির বলে জানা গিয়েছে। কানাডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েট জার্নালে এই নয়া স্ট্রেনটির লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হয়। সেখানেই ৭০ হাজার আক্রান্তকে বিভিন্ন বিভাগ অনুযায়ী আলাদা করা হয়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মোট ৭০২৮৮ আক্রান্তের মধ্যে ৫৩.৪ শতাংশ মানুষ চিকিৎসাধীন, ৪.৭ শতাংশ আক্রান্তকে আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৬.৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের হার ৮১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশে ৪৩ শতাংশ, পঞ্জাবে ৩১ শতাংশ, জম্মু-কাশ্মীরে ২২ শতাংশ এবং ছত্তিশগড়ে ১৩ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে।
More News:
19th April 2021
19th April 2021
পবিত্র দ্বীপে থাকেন শুধু পুরুষরা, প্রবেশাধিকার নেই কোনও নারীর
13th April 2021
10th April 2021
10th April 2021
5th April 2021
5th April 2021
5th April 2021
3rd April 2021
Leave A Comment