আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বয়স যে কোনও বাধা হতে পারে না, তা আরও একবার প্রমাণিত হল। প্রমাণ করল জোনাথান। বয়স ‘মাত্র’ ১৯০ বছর। জোনাথান পেয়েছে বিশ্বের সব চেয়ে বুড়ো কচ্ছপের শিরোপা। ব্যাপারটা শুধু শিরোপা প্রাপ্তির মধ্যে সীমিত রইল না। ১৯০ বছরের জোনাথানের নাম উঠেছে গিনেস রেকর্ডে।
গিনেস রেকর্ডের তরফ থেকে এই খবর দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, তাদের বিশ্বাস, জোনাথানের জন্ম হয়েছিল ১৮৩২ সালে। সেই হিসেবে এ বছর সে ১৯০ বছর পূর্ণ করল।
গিনেস রেকর্ডের বয়ান অনুযায়ী, জোনাথনের আদি বাড়ি সেসেলসে। আর সেন্ট হেলেনায় তাঁকে যখন নিয়ে আসা হয়েছিল, তখন তার বয়স মাত্র ৫০। সেন্টে হেলেনার গভর্নরের সরকারি বাসভবনে আরও তিন সঙ্গীর সঙ্গে তাঁর বেড়ে ওঠা। জোনাথানের তিনবন্ধুর নাম ডেভিড, এম্মা, ফ্রিড। বয়স হয়েছে। তাই জোনাথানের খাওয়া-দাওয়া কিছুটা হলেও কমেছে। তবে স্বাস্থ্য এখনও ভালো। তার খাদ্যতালিকায় রয়েছে বাঁধাকপি, শসা, গাঁজর, আপেল, কলা এবং মরসুমি ফল। রোগমুক্ত শরীর বলতে যা বোঝায়, জোনাথান সেটাই। ঘুম স্বাভাবিক। স্বাভাবিক হাঁটাচলাও।
সেন্ট হেলেনা গভর্নরের দফতর থেকে এই খবর দিতে গিয়ে বলা হয়েছে,বয়স হওয়ায় জোনাথানকে হাতে করে খাইয়ে দিতে হয়। কারণ ও চোখে দেখতে পায় না। এছাড়া অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। শ্রবণশক্তি প্রখর। মানুষের সঙ্গে থাকতে পারলে ও সব থেকে বেশি খুশি হয়।