নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে আবারও প্রশ্নের মুখে রাজ্য। স্বচ্ছ ভারত মিশনে শৌচালয় তৈরির জন্য বরাদ্দ থাকলেও গ্রামীণ এলাকায় তা রূপায়ণের কাজ ঠিক মতো হচ্ছে না। আলিপুরদুয়ার বাদে বাকি সব জেলায় এই কর্মসূচি রূপায়ণ ঠিক মতো হয়নি।
এই প্রকল্পের লক্ষ্য় জল বাহিত রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি আর্থ- সামাজিক বিকাশ। এই কর্মসূচি বিশ্বের বৃহত্তম কর্মসূচি। যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অভ্যাস বদল করে দেবে। নারীর সম্ভ্রম ও নিরাপত্তা সুরক্ষিত করবে এই প্রকল্প। শুধু উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধ করাই নয়, সলিড লিকুইড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বা তরল বর্জ্য নিস্কাশন ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা করেছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব জীতেন্দ্র শ্রীবাস্তব সম্প্রতি রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামান্নোয়ন সচিবকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা নিশ্চিত হয়েছে শৌচালয় তৈরির লক্ষ্য এবং প্রকৃত রূপায়ণের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে প্রথম সাড়ে ছয় মাস কাটতে চলেছে এখনও পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার এক তৃতীয়াংশ শৌচালয় তৈরি করা যায়নি। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৮১৬। তৈরি হয়েছে ১ লক্ষ ১২ হাজার ১৭৯। তাই কেন্দ্রীয় যুগ্ম সচিবের পরমার্শ রাজ্য দ্রুত অভিযানে নামুক। যাতে দ্রুত এই খামতি কমিয়ে ফেলা যায়
চিঠি পাওয়ার পরই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলাশাসকদের সতর্ক করেছিলেন। জেলাশাসকদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতিটি বাড়িতে শৌচালয় কর্মসূচি নিয়ে যেন সরকারিভাবে উপযুক্ত প্রচার চালানো হয়। প্রতিটি গ্রামসভা ডেকে এই ধরনের সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করতে এবং শিবির করে সরাসরি সুবিধাভোগীদের প্রকল্প খরচ সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তুলে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে যেসব বাড়িতে এখনও শৌচলয় নেই তাদেরও এই কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে।
১৯ নভেম্বর বিশ্ব শৌচালয় দিবস। ওই দিনেই চিহ্নিত সুবিধাভোগীদের হাতে প্রকল্পের ছাড়পত্র দিতে হবে। ২০ নভেম্বরের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে। সম্প্রতি এই নির্দেশ রাজ্যের মুখ্যসচিব দিয়েছেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।