নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু ও শোলাপুর: ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে মহারাষ্ট্র-কর্নাটক সীমান্ত। কর্নাটক রক্ষণ ভেদিকার শতাধিক সমর্থক মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র সীমান্ত পেরিয়ে ওই রাজ্যে ঢোকার চেষ্টা চালালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। অন্যদিকে, কর্নাটক যাওয়ার কথা ছিল মহারাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরিমন্ত্রী চন্দ্রকান্ত পাতিল, মহারাষ্ট্রের আবগারিমন্ত্রী শম্ভুরাজ দেশাই এবং সাংসদ ধারিয়াশি মানির। তাদের মাঝপথেই রুখে দেয় পুলিশ। মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের বিক্ষোভকারীরা যাতে কোনওভাবেই যাতে একে অন্যের রাজ্যে মিছিল করে ঢুকতে না পারে, তার জন্য সীমান্তে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দুই রাজ্যের মধ্যে সীমানা নিয়ে সংঘাত নতুন নয়। সংঘাত শুরু ১৯৬০ সাল থেকে। বেলাগাভির পরিচয় কী হবে, এই নিয়ে দুই রাজ্যের বিরোধ। মহারাষ্ট্র-কর্নাটক সীমান্ত লাগোয়া শোলাপুরের বাসিন্দাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ কন্নড়ভাষী।আবার ২০১২-তে সাংলি জেলার কয়েকটি পঞ্চায়েত কর্নাটকে যোগ দেওয়ায় জন্য সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাশও হয়ে যায়। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা ও কারিগির মন্ত্রী চন্দ্রকান্ত পাতিল বলেন, মধ্যভারতী মহারাষ্ট্র একীকরণ সমিতির দাবি, বেলাগাভি এবং কর্নাটকের কিছু অংশকে মহারাষ্ট্রের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। মঙ্গলবার এই সংগঠনের কয়েকজন প্রতিনিধিদের স্মারকপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল। পাল্টা স্মারকপত্র দেওয়ার জন্য তৈরি হয় কর্নাটক রক্ষণ ভেদিকার শতাধিক সমর্থক। স্মারকপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে এই আশঙ্কায় সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়ে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন।