নিজস্ব প্রতিনিধি: এ যেন বাংলা ছোট গল্পের সংজ্ঞা। শেষ হয়েও যেন হচ্ছে না। একুশের বিধানসভা নির্বাচন সাঙ্গ হয়ে গিয়েছে মে মাসেই। কিন্তু তারপরেও রয়ে গিয়েছে ভোটের উষ্ণতা। সেই উষ্ণতা যেমন একগুচ্ছ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন তেমনি রয়েছে রাজ্যের শতাধিক পুরসভার নির্বাচন। আর সেই পুরনির্বাচন নিয়েই এদিন গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দিলেন উৎসব মরশুমের পরেই বাংলায় ফের ভোটের বাদ্যি বাজতে পারে। আর সেই ভোট হবে রাজ্যের শতাধিক পুরসভায়। কার্যত সেই নির্বাচনও এবার বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের কাছে আরও এক অগ্নিপরীক্ষা হতে চলেছে।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আমার একটা অনুরোধ থাকবে, উৎসবের দিনগুলিতে যেন আমরা উপনির্বাচনের প্রচার না করি। এই নির্বাচনগুলি হয়ে গেলে আমাদের পরবর্তী অনেক নির্বাচন আছে, সেগুলিও হবে।’ এখন প্রশ্ন উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী পরবর্তী নির্বাচন বলতে কোন নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন? অনেকেই মনে করছেন সেই ইঙ্গিত আদতে রাজ্যের শতাধিক পুরসভায় বাকি থাকা পুরনির্বাচন। ওই শতাধিক পুরসভার মধ্যে যেমন কলকাতা, বিধাননগর, হাওড়া, আসানসোল, চন্দননগর ও শিলিগুড়ির মতো পুরনিগম রয়েছে তেমনি রয়েছে পারয় প্রতিটি জেলাতেই ছড়িয়ে থাকা ছোট-বড় ও মাঝারি পুরসভাগুলি। এদের কোনওটি জেলা সদর বা মহকুমা শহর আবার কোনটি সাধারন পুরসভা। এই সব পুরসভার ক্ষমতা দখল রাজ্য রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বাংলার শহর এলাকায় এই পুরসভাই ক্ষমতার উৎস হয়ে ওঠে। বিরোধীরা তাই বরাবরই পঞ্চায়েত অপেক্ষা পুরসভাকে বেশি গুরুত্ব দেয় ক্ষমতা দখলের জন্য। সেখানে তাঁদের সাফল্যের সম্ভাবনাও বেশি থাকে।