নিজস্ব প্রতিনিধি: কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের রানার গানের সেই বিখ্যাত লাইন… ঘরেতে অভাব, পৃথিবীটা তাই মনে হয় কালো ধোঁয়া/পিঠেতে টাকার বোঝা তবু এ টাকাকে যাবে না ছোঁয়া। পিয়ালীর ক্ষেত্রেও এই কথাটা প্রযোজ্য এই কারণে পাহাড়ের চড়ার টানে পিয়ালীর মাথায় লক্ষ লক্ষ টাকার ঋণের বোঝা চেপেছে ইতিমধ্যেই।তবুও তাঁকে পাহাড়ের শৃঙ্গ আরোহণ করা থেকে বিরত করা যায়নি। রানারের মতো পিয়ালীর পিঠেতে টাকার বোঝা নেই ঠিক কথাই, কিন্তু পিয়ালীর আছে অসম্ভব মনের জোর। সেই জোরকে সম্বল করেই রানারের মতো দুরন্ত গতিতে একের পর এক পাহাড়ের শৃঙ্গে উঠে চলেছে চন্দননগরের পিয়ালী বসাক।
সদ্য পিয়ালী শিখর ছুঁয়েছে মাউন্ট কিলার অন্নপূর্ণার। সেই শিখর ছুঁয়েই পিয়ালী বাড়ি ফিরে এসেছেন তাঁর অসুস্থ বাবাকে দেখতে। পিয়ালী যখন অন্নপূর্ণার শিখর আরোহণের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক সেই সময়ই তাঁর বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এবং তাঁকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় চন্দননগর হাসপাতালে। কিন্তু বসাক বাড়ির বড় মেয়েটি সেই সময় বাবাকে দেখতে আসতে পারেননি।তাই অন্নপূর্ণার শিখর আরোহণ করেই পিয়ালী ছুটে এসেছেন চন্দননগরের কাঁটাপুকরের নিজস্ব বাড়িতে।
আরও জানতে পড়ুন: ধোনিকে দেখতে ইডেন মুখী ধোনি ভক্তরা
বড় মেয়ে বলে কথা। কর্তব্য তো একটা থেকেই যায়। তার ওপর আবার বাবার শরীর খারাপ বলে কথা। তাই না এসে পারেননি পিয়ালী। বাবার পাশে থেকে মাত্র দিন কয়েক কাটিয়েই আবার তিনি ফিরে যাবেন সেই পর্বতের কাছেই।
কেননা অন্নপূর্ণার পর পিয়ালীর পরবর্তী লক্ষ্য রয়েছে মাকালু শৃঙ্গ জয় করা। তার জন্যই পিয়ালী আবার পাড়ি দেবেন নেপালে। আপনি এভারেস্ট, লোৎসে, অন্নপূর্ণার মতো মাকালু শৃঙ্গও জয় করে ফিরুন পিয়ালী। সমস্ত বাঙালির আশীর্বাদ আপনার সঙ্গে আছে। এই শুভ কামনাই রইল আমাদের সকলের পক্ষ থেকে।