ডার্বিতে জাতীয় সঙ্গীত কীভাবে অনুঘটকের কাজ করল?
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: দর্শকহীন মাঠে ডার্বি! অবাক হলেও শেষ দু’বার এমনটাই হয়েছে। গোয়ায় দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামেই হয়েছে দেশের একনম্বর লিগ আইএসএলের ডার্বি। বড় ম্যাচে মাঠে আসা সমর্থকদের স্লোগানই তাতিয়ে দেয় ফুটবলারদের। কিন্তু শুক্রবার সেই স্লোগানে উত্তেজনায় ফোটার সুযোগ পেলেন না কলকাতার দুই প্রধানের ফুটবলাররা। করোনা আবহে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে ডার্বি হল গোয়ার ফতোরদায়। সমর্থকরা যেন চাইছিলেন, উনিশের ডার্বিটা খুব তাড়াতাড়ি কাটুট। কারণ পরের ডার্বি আবার গ্যালারিতে বসে দেখবেন। তার আগে দুই প্রধানের ফ্যানস ক্লাবগুলো নিজেদের মতো করে ডার্বি উপভোগ করলেন। হাওড়ার কোনও কোনও ফ্যানস ক্লাব জায়ান্ট স্ক্রিনে ম্যাচ দেখেছে। বালি সাহেব বাগানেও বড় পর্দায় চলল ঘটি–বাঙালের দ্বৈরথ। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেল, কোনও সমর্থক আবার নিজের ঘরকে প্রিয় দলের পতাকা, জার্সি দিয়ে সাজিয়ে টিভিতে ম্যাচ দেখলেন। এটা অনেকটা দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মতো।
সমর্থকদের মতো হাল দুই প্রধানের ফুটবলারদেরও। দম বন্ধ করে যেন এবারের আইএসএলের দুটো ডার্বি খেলে নিলেন। ম্যাচের নামার সময় ফুটবলারদের পা কাঁপল কি? গ্যালারিতে ছিল না সেই শব্দব্রক্ষ। মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে সেই গর্জনে বাড়তি অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ হয় ডার্বি সৈনিকদের। সেই সব কিছুই তো হল না। মাঠে বসানো ফ্যান ওয়ালে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখানো হলেও ফুটবলারদের ওপর তার প্রভাব পড়ে না বললেই চলে। তাই ফুটবলাররা গত দু’টি ডার্বি বড় ম্যাচে গ্যালারির গর্জন মিস করেছেন।
বড় ম্যাচ শুরুর আগে ছোট গাড়িতে করে ম্যাচ বল আসে। সেই গাড়ি থেকে রেফারিরা বল তুলে নেন। জাতীয় সঙ্গীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরা ধরে প্রীতম কোটালকে। দেখা গেল ওপরের দিকে মুখ তুলে জন–গন–মন গাওয়ার সময়ে প্রীতমের চোখ দিয়ে যেন আগুন ছুটছে। একে দর্শকশূন্য গ্যালারি। তার ওপর চিরশত্রু এস সি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের গায়ে লাল–হলুদ জার্সি ছিল না। সবুজ–মেরুন বনাম লাল–হলুদ যুদ্ধে শুক্র সন্ধেয় তাই সৈনিকদের তেতে ওঠার জন্য জাতীয় সঙ্গীত দারুণ অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, তা বলাই বাহুল্য।
More News:
ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে গলফার টাইগারের গাড়ি, 'ভাগ্যের জোরে' বাঁচলেন
Leave A Comment