ডার্বি নিয়ে প্রাক্তনরা কী বলছেন?
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি : ভারতীয় ফুটবলের সেরা ডার্বি। শুক্রবার যা হতে চলেছে ভাস্কোর তিলক ময়দান স্টেডিয়ামে। এই প্রথম দেশের সেরা ফুটবল লিগ হিরো আইএসএলে দেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দী ও ঐতিহ্যবাহী দল এটিকে মোহনবাগান ও এসসি ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হবে। আর এই প্রথম দর্শকশূন্য গ্যালারির সামনে হতে চলেছে এই হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। যা হয়তো টিভি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে দেখবে রেকর্ড সংখ্যক দর্শক।
এমন পরিস্থিতিতে ও পরিবেশে ডার্বি ম্যাচ কখনও হয়নি। তাই অতীতে এই ম্যাচে জড়িত থাকা ফুটবলার, কোচেরা জানিয়েছেন এই ম্যাচ নিয়ে তাঁদের মনের কথা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ও আইএসএল মিডিয়াকে দেওয়া সেইসব প্রতিক্রিয়ার কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হল।
বাইচুং ভুটিয়া: হিরো আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে আমি এটিকে মোহনবাগানকেই এগিয়ে রাখব। প্রস্তুতির দিক থেকে ওরা এগিয়ে আছে। কোচ হাবাস ভারতীয় ফুটবলে অনেক দিন ধরেই আছেন। ভারতীয় ও বিদেশি ফুটবলারদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা আছে ওঁর। তবে এসসি ইস্টবেঙ্গল খুব যে পিছিয়ে রয়েছে, তা নয়। কারণ ওদের কোচ রবি ফাউলার তাঁর পরিচিত, অভিজ্ঞ ও তৈরি ফুটবলারদের নিয়ে একটা দল গড়েছেন। ওরা ফাউলারের সিস্টেম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। এখন ওদের ভারতীয় ফুটবলাররা কী ভাবে ও কত তাড়াতাড়ি সেই সিস্টেমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, সেটাই দেখার।
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য: এটাই লিগে এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ। ওরা নতুন দল। কিন্তু কেমন দল, সেটা কেউ জানে না। এই অবস্থায় ওদের বিপক্ষরা ওদের বিরুদ্ধে ম্যাচে নেমে সমস্যায় পড়তে পারে। এটা এটিকে মোহনবাগানের কাছে মাইনাস পয়েন্ট। তবে হাবাসের হাতে সেট টিম রয়েছে। প্রথম ম্যাচ জিতে ওরা আত্মবিশ্বাসীও। ম্যাচটা মনে হয় না একপেশে হবে। ফাউলার এই দলের বিদেশিদের নিজে বাছাই করেছেন তাদের খেলা দেখে, বায়োডাটা দেখে নয়। এদের মধ্যে তিনজন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার রয়েছেন। অন্যরা এ লিগে খেলত। যে দলে ভাল বিদেশি ফুটবলার আছে, তারাই আইএসএলে সফল হয়।
বিকাশ পাঁজি: মোহনবাগান কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে। ওরা প্রথম ম্যাচে নিজেদের পরখ করে নিতে পেরেছে। কার কোথায় ঘাটতি, কোথায় শক্তি বুঝে নিয়েছে। অন্য দিকে ইস্টবেঙ্গল একেবারে নতুন দল নিয়ে প্রথম ম্যাচে খেলতে নামবে। এই ফুটবলাররা আগে কখনও একসঙ্গে কোনও ম্যাচ খেলেনি। এটিকে মোহনবাগানের মাঝমাঠ ও রক্ষণের মধ্যে একটা বোঝাপড়ার অভাব লক্ষ্য করেছি। এসসি ইস্টবেঙ্গল এই দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে পারে কি না, দেখার বিষয়। এই ধরনের ম্যাচে ফারাক গড়ে দেয় অভিজ্ঞতা ও লড়াই করার ক্ষমতা। যে দলের সেটা ভাল, তারাই সফল হবে। এটিকে মোহনবাগানকে আমি এগিয়ে রাখছি অঙ্ক ও যুক্তিতে। মন কিন্তু চাইছে ইস্টবেঙ্গলই জিতুক।
শিশির ঘোষ: মোহনবাগানের দিকেই বেশি নজর থাকবে। অতিমারির জন্য বেশ কয়েক মাস মাঠের বাইরে ছিল ফুটবলাররা। মরশুমের আগে প্রস্তুতিরও যথেষ্ট সময় পায়নি। অনুশীলন ম্যাচও পায়নি ওরা। তাই প্রথম ম্যাচে কিছু জড়তা লক্ষ্য করা গিয়েছে। ডার্বিতে এগুলো কাটাতেই হবে। মাঝমাঠে ওদের এখনও খামতি আছে। এই খামতি কাটিয়ে না উঠতে পারলে সমস্যা হবে। কারণ, রোজ রোজ রয় কৃষ্ণা অর্ধক সুযোগ থেকে গোল করবে না। আক্রমণে লোক বাড়াতে হবে ওদের। তবে রয়কে প্রথম ম্যাচে দেখে পুরো ফিট মনে হল না। প্রীতমদের সঙ্গে সন্দেশ ঝিঙ্গনকে রক্ষণে নেতৃত্ব দিয়ে খেলতে দেখলাম। অনেকটা আমাদের সময়ে সুব্রত ভট্টাচার্য, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যদের মতো। ডার্বিতেও এ রকম দেখতে চাই।
বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য: এটিকে মোহনবাগান দলের গভীরতা দারুণ। পরিপূর্ণ দল একটা। হাবাস নিজেই বড় ফ্যাক্টর। এসসি ইস্টবেঙ্গলের যে উইঙ্গারটি আছে অ্যান্থনি পিলকিংটন, যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলেছে, সে খুবই বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবলার। ও এই ম্যাচে তফাৎ গড়ে দিতে পারে। দুই কোচের কাছেই এটা প্রথম কলকাতা ডার্বি। তাই দু’জনই বেশ চাপে থাকবেন। এই চাপ সামলে, কে কত ভাল ও কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সেটাই দেখার।
ট্রেভর জেমস মর্গ্যান: যে কেউ এই ম্যাচে জিততে পারে। চাপ সামলে যারা ভাল খেলবে, তারাই জিতবে। ওদের স্কট নেভিল নামের ডিফেন্ডারটিকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। ও খুবই ভাল ডিফেন্ডার। ওর ওপর আমার নজর থাকবে। তাকিয়ে থাকব, এমন চাপের ম্যাচে রয় কৃষ্ণা কত ভাল খেলে সে দিকেও। দুর্দান্ত স্ট্রাইকার ও। দুই কোচকেই একাধিক প্ল্যান নিয়ে মাঠে নামতে হবে। কোনও প্ল্যান সফল না হলে অন্য পরিকল্পনাকে কার্যকরী করে তোলার চেষ্টা করতে হবে। এই কাজটা কে কত ভাল করতে পারবে, তার ওপর নির্ভর করছে খেলার ফল।
শঙ্করলাল চক্রবর্তী: এসসি ইস্টবেঙ্গলের ওপর বেশি চাপ থাকবে না। কারণ, ফাউলার বেশি দিন দল নিয়ে প্রস্তুতি নিতে পারেননি। তাই তাঁকে তেমন প্রত্যাশার চাপ নিতে হবে না। তা ছাড়া তিনি ব্পক্ষের খেলা ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন। তাই এটিকে মোহনবাগানের শক্তি ও দুর্বলতা তাঁর নোটবুকে লেখা হয়ে গিয়েছে। তা ছাড়া এসসি ইস্টবেঙ্গলের এই নতুন সেট পিস কোচ আসাটা একটা বড় সুবিধা, যা ভারতীয় ফুটবলে আগে কখনও ছিল না। তাই ইস্টবেঙ্গল কিন্তু সেট পিসে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তাই আমার মনে হচ্ছে এসসি ইস্টবেঙ্গলই এগিয়ে থাকবে।
সমরেশ চৌধুরী: মোহনবাগান ইতিমধ্যেই একটা ম্যাচ খেলে ফেলেছে ও সেই ম্যাচটা জিতে তারা বেশ আত্মবিশ্বাসী। তিরি, প্রীতম কোটাল, সন্দেশ ঝিঙ্গনরা রক্ষণে বেশ ভাল খেলেছে। অন্য দিকে ইস্টবেঙ্গল খাতায় কলমে বেশ ভাল দল। ভাল ভাল বিদেশি ফুটবলার এনেছে ওরা। কিন্তু ভারতের মাঠে কোন খেলোয়াড় কেমন সাফল্য পাবে, তা প্রমানিত নয়। দুই কোচই আক্রমণাত্মক ফুটবল পছন্দ করে বলে শুনেছি। তবে এমন হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে তারা বেশি আক্রমণাত্মক হওয়ার ঝুঁকি নিতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।
মানস ভট্টাচার্য: এই ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগান হারলে অবাকই হব। কারণ, ওরা প্রথম ম্যাচ খেলে ফেলেছে, বেশ স্বচ্ছন্দে আছে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এসসি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে প্রথম ম্যাচে বাজিমাত করাটা বেশ চাপের হবে। তবে জাক মাঘোমা, অ্যান্থনি পিলকিংটনরা যেহেতু ভাল জাতের ফুটবলার, তাই পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিয়ে অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে। হাবাস শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে গোলে পেয়ে গেলে রক্ষণাত্মক হয়ে যান। এটাই ওর স্টাইল। কোচ ফাউলারের স্টাইল আমাদের জানা নেই। উনি ফুটবলার হিসেবে ভাল ছিলেন মানে যে কোচ হিসেবেও ভাল হবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এটিকে মোহনবাগানের জোড়া ফলা রয় কৃষ্ণা ও ডেভিড উইলিয়ামসের সঙ্গে লড়াই হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলের স্কট নেভিল ও ড্যানি ফক্স জুটির।
এমন পরিস্থিতিতে ও পরিবেশে ডার্বি ম্যাচ কখনও হয়নি। তাই অতীতে এই ম্যাচে জড়িত থাকা ফুটবলার, কোচেরা জানিয়েছেন এই ম্যাচ নিয়ে তাঁদের মনের কথা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ও আইএসএল মিডিয়াকে দেওয়া সেইসব প্রতিক্রিয়ার কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হল।
বাইচুং ভুটিয়া: হিরো আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে আমি এটিকে মোহনবাগানকেই এগিয়ে রাখব। প্রস্তুতির দিক থেকে ওরা এগিয়ে আছে। কোচ হাবাস ভারতীয় ফুটবলে অনেক দিন ধরেই আছেন। ভারতীয় ও বিদেশি ফুটবলারদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা আছে ওঁর। তবে এসসি ইস্টবেঙ্গল খুব যে পিছিয়ে রয়েছে, তা নয়। কারণ ওদের কোচ রবি ফাউলার তাঁর পরিচিত, অভিজ্ঞ ও তৈরি ফুটবলারদের নিয়ে একটা দল গড়েছেন। ওরা ফাউলারের সিস্টেম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। এখন ওদের ভারতীয় ফুটবলাররা কী ভাবে ও কত তাড়াতাড়ি সেই সিস্টেমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, সেটাই দেখার।
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য: এটাই লিগে এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ। ওরা নতুন দল। কিন্তু কেমন দল, সেটা কেউ জানে না। এই অবস্থায় ওদের বিপক্ষরা ওদের বিরুদ্ধে ম্যাচে নেমে সমস্যায় পড়তে পারে। এটা এটিকে মোহনবাগানের কাছে মাইনাস পয়েন্ট। তবে হাবাসের হাতে সেট টিম রয়েছে। প্রথম ম্যাচ জিতে ওরা আত্মবিশ্বাসীও। ম্যাচটা মনে হয় না একপেশে হবে। ফাউলার এই দলের বিদেশিদের নিজে বাছাই করেছেন তাদের খেলা দেখে, বায়োডাটা দেখে নয়। এদের মধ্যে তিনজন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার রয়েছেন। অন্যরা এ লিগে খেলত। যে দলে ভাল বিদেশি ফুটবলার আছে, তারাই আইএসএলে সফল হয়।
বিকাশ পাঁজি: মোহনবাগান কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে। ওরা প্রথম ম্যাচে নিজেদের পরখ করে নিতে পেরেছে। কার কোথায় ঘাটতি, কোথায় শক্তি বুঝে নিয়েছে। অন্য দিকে ইস্টবেঙ্গল একেবারে নতুন দল নিয়ে প্রথম ম্যাচে খেলতে নামবে। এই ফুটবলাররা আগে কখনও একসঙ্গে কোনও ম্যাচ খেলেনি। এটিকে মোহনবাগানের মাঝমাঠ ও রক্ষণের মধ্যে একটা বোঝাপড়ার অভাব লক্ষ্য করেছি। এসসি ইস্টবেঙ্গল এই দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে পারে কি না, দেখার বিষয়। এই ধরনের ম্যাচে ফারাক গড়ে দেয় অভিজ্ঞতা ও লড়াই করার ক্ষমতা। যে দলের সেটা ভাল, তারাই সফল হবে। এটিকে মোহনবাগানকে আমি এগিয়ে রাখছি অঙ্ক ও যুক্তিতে। মন কিন্তু চাইছে ইস্টবেঙ্গলই জিতুক।
শিশির ঘোষ: মোহনবাগানের দিকেই বেশি নজর থাকবে। অতিমারির জন্য বেশ কয়েক মাস মাঠের বাইরে ছিল ফুটবলাররা। মরশুমের আগে প্রস্তুতিরও যথেষ্ট সময় পায়নি। অনুশীলন ম্যাচও পায়নি ওরা। তাই প্রথম ম্যাচে কিছু জড়তা লক্ষ্য করা গিয়েছে। ডার্বিতে এগুলো কাটাতেই হবে। মাঝমাঠে ওদের এখনও খামতি আছে। এই খামতি কাটিয়ে না উঠতে পারলে সমস্যা হবে। কারণ, রোজ রোজ রয় কৃষ্ণা অর্ধক সুযোগ থেকে গোল করবে না। আক্রমণে লোক বাড়াতে হবে ওদের। তবে রয়কে প্রথম ম্যাচে দেখে পুরো ফিট মনে হল না। প্রীতমদের সঙ্গে সন্দেশ ঝিঙ্গনকে রক্ষণে নেতৃত্ব দিয়ে খেলতে দেখলাম। অনেকটা আমাদের সময়ে সুব্রত ভট্টাচার্য, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যদের মতো। ডার্বিতেও এ রকম দেখতে চাই।
বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য: এটিকে মোহনবাগান দলের গভীরতা দারুণ। পরিপূর্ণ দল একটা। হাবাস নিজেই বড় ফ্যাক্টর। এসসি ইস্টবেঙ্গলের যে উইঙ্গারটি আছে অ্যান্থনি পিলকিংটন, যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলেছে, সে খুবই বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবলার। ও এই ম্যাচে তফাৎ গড়ে দিতে পারে। দুই কোচের কাছেই এটা প্রথম কলকাতা ডার্বি। তাই দু’জনই বেশ চাপে থাকবেন। এই চাপ সামলে, কে কত ভাল ও কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সেটাই দেখার।
ট্রেভর জেমস মর্গ্যান: যে কেউ এই ম্যাচে জিততে পারে। চাপ সামলে যারা ভাল খেলবে, তারাই জিতবে। ওদের স্কট নেভিল নামের ডিফেন্ডারটিকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। ও খুবই ভাল ডিফেন্ডার। ওর ওপর আমার নজর থাকবে। তাকিয়ে থাকব, এমন চাপের ম্যাচে রয় কৃষ্ণা কত ভাল খেলে সে দিকেও। দুর্দান্ত স্ট্রাইকার ও। দুই কোচকেই একাধিক প্ল্যান নিয়ে মাঠে নামতে হবে। কোনও প্ল্যান সফল না হলে অন্য পরিকল্পনাকে কার্যকরী করে তোলার চেষ্টা করতে হবে। এই কাজটা কে কত ভাল করতে পারবে, তার ওপর নির্ভর করছে খেলার ফল।
শঙ্করলাল চক্রবর্তী: এসসি ইস্টবেঙ্গলের ওপর বেশি চাপ থাকবে না। কারণ, ফাউলার বেশি দিন দল নিয়ে প্রস্তুতি নিতে পারেননি। তাই তাঁকে তেমন প্রত্যাশার চাপ নিতে হবে না। তা ছাড়া তিনি ব্পক্ষের খেলা ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন। তাই এটিকে মোহনবাগানের শক্তি ও দুর্বলতা তাঁর নোটবুকে লেখা হয়ে গিয়েছে। তা ছাড়া এসসি ইস্টবেঙ্গলের এই নতুন সেট পিস কোচ আসাটা একটা বড় সুবিধা, যা ভারতীয় ফুটবলে আগে কখনও ছিল না। তাই ইস্টবেঙ্গল কিন্তু সেট পিসে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তাই আমার মনে হচ্ছে এসসি ইস্টবেঙ্গলই এগিয়ে থাকবে।
সমরেশ চৌধুরী: মোহনবাগান ইতিমধ্যেই একটা ম্যাচ খেলে ফেলেছে ও সেই ম্যাচটা জিতে তারা বেশ আত্মবিশ্বাসী। তিরি, প্রীতম কোটাল, সন্দেশ ঝিঙ্গনরা রক্ষণে বেশ ভাল খেলেছে। অন্য দিকে ইস্টবেঙ্গল খাতায় কলমে বেশ ভাল দল। ভাল ভাল বিদেশি ফুটবলার এনেছে ওরা। কিন্তু ভারতের মাঠে কোন খেলোয়াড় কেমন সাফল্য পাবে, তা প্রমানিত নয়। দুই কোচই আক্রমণাত্মক ফুটবল পছন্দ করে বলে শুনেছি। তবে এমন হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে তারা বেশি আক্রমণাত্মক হওয়ার ঝুঁকি নিতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।
মানস ভট্টাচার্য: এই ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগান হারলে অবাকই হব। কারণ, ওরা প্রথম ম্যাচ খেলে ফেলেছে, বেশ স্বচ্ছন্দে আছে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এসসি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে প্রথম ম্যাচে বাজিমাত করাটা বেশ চাপের হবে। তবে জাক মাঘোমা, অ্যান্থনি পিলকিংটনরা যেহেতু ভাল জাতের ফুটবলার, তাই পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিয়ে অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে। হাবাস শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে গোলে পেয়ে গেলে রক্ষণাত্মক হয়ে যান। এটাই ওর স্টাইল। কোচ ফাউলারের স্টাইল আমাদের জানা নেই। উনি ফুটবলার হিসেবে ভাল ছিলেন মানে যে কোচ হিসেবেও ভাল হবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এটিকে মোহনবাগানের জোড়া ফলা রয় কৃষ্ণা ও ডেভিড উইলিয়ামসের সঙ্গে লড়াই হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলের স্কট নেভিল ও ড্যানি ফক্স জুটির।
More News:
26th January 2021
26th January 2021
26th January 2021
26th January 2021
25th January 2021
25th January 2021
25th January 2021
25th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
Leave A Comment