নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বিপিএলের খেতাব জয়ের হ্যাটট্রিক অধরাই থেকে গেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। শুক্রবার ফাইনালে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালের কাছে উইকেটে হেরে গেলেন লিটন দাসরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তুলেছিল কুমিল্লা। ৬ বল বাকি থাকতে হাতে ছয় উইকেট নিয়ে জিতে যান তামিমরা।
এদিন মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে কুমিল্লাকে ব্যাট করতে পাঠান ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৪ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সুনীল। সেই ধাক্কা সামাল দিতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। ১০ বলে ১৫ রান করে জেমন ফুলারের বলে মাহমুদুল্লাহর হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনি। কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস ১২ বলে ১৬ রান করে ফেরেন। জনসন চার্লস করেন ১৫। ৬২ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কুমিল্লা। এর পরে মাহিদুল হাসান প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। ৩৫ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে রানআউটের শিকার হন মঈন আলি (৩)। শেষ দিকে নেমে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন আন্দ্রে রাসেল (১৪ বলে ২৭)। জাকের আলি ২৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।
জয়ের জন্য ১৫৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলে ফরচুন বরিশালের দুই গোড়াপত্তনকারী ব্যাটসম্যান তামিল ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ। কুমিল্লার বোলারদের বেধড়ক পেটাতে থাকেন দুজনে। শেষ পর্যন্ত অষ্টম ওভারে বল করতে এসে বিধ্বংসী তামিমকে থামান মঈন আলি। আউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৩৯ রান করেন তামিম। নিজের পরের ওভারে মিরাজকেও (২৯) সাজঘরের পথ দেখান মঈন। কিন্তু তাতে ফরচুন বরিশালকে খুব একটা চাপে ফেলা যায়নি। কাইল মায়ার্স ও মুশফিকুর রহিম তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে কুমিল্লার বোলারদের কাছে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান। দুজনে জুটি বেঁধে ৫৯ রান যোগ করেন। যখন মনে হচ্ছিল বরিশাল সহজ জয় পেতে চলেছে তখনই সপ্তদশ ওভারে বল করতে এসে জোড়া ধাক্কা দেন মুস্তাফিজুর রহমান। তৃতীয় বলে কাইল মায়ার্স (৪৬) এবং শেষ বলে মুশফিককে (১৩) ফিরিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত জুটি বেঁধে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন মাহমুদুল্লাহ (অপরাজিত ৭) ও ডেভিড মিলার (আপরাজিত ৮)।