নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট: যুদ্ধক্ষেত্রেও যে সৌজন্য ভোলা উচিত নয় বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ক্রিকেটার তথা রাজনেতা সাকিব আল হাসানকে সেই বার্তাই দিলেন নিউজিল্যান্ডের বোলার এজাজ পটেল। মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই মুমিনুল হককে মানকাডিংয়ের সুবর্ণ সুযোগ ছিল কিউই বোলারের সামনে। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে না লাগিয়ে মুমিনুলকে জীবন দেন তিনি। আর ওই সৌজন্যের জন্য প্রশংসায় ভাসছেন এজাজ।
কিউই বোলারের ওই সৌজন্য দেখে অনেকেরই চোখের পাতায় নতুন করে ভেসে উঠেছে গত ২৩ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। ওই দিন দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। বল হওয়ার আগেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া কিউই ব্যাটার ইশ সোধিকে নন স্ট্রাইক প্রান্তে রানআউট করেছিলেন বাংলাদেশের হাসান মাহমুদ। টেলিভিশন আম্পায়ার রানআউট দেওয়ার পর সাজঘরে ফিরতে থাকা সোধিকে ফিরিয়ে এনেছিলেন লিটন দাস। তাঁর ওই সৌজন্যের প্রশংসা করেছিলেন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেট প্রেমীরা।
এদিন প্রথম টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ম্যাচের ৩৯তম ওভারে বল করতে আসেন এজাজ প্যাটেল। সে সময়ে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন মুমিনুল হক। ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ওভারের পঞ্চম বল করতে এসে হাত থেকে বল ছাড়েননি এজাজ। তার আগে মুমিনুল ক্রিজ ছেড়ে কিছুটা বেরিয়ে যান। ইচ্ছা করলেই এজাজ সেই সুযোগে মানকাডিং করে মুমিনুলকে সাজঘরে ফেরত পাঠাতে পারতেন। কিন্তু তা না করে মুমিনুলের দিকে চেয়ে মুচকি হেসে ফের নতুন করে বল করতে চলে যান। ওই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে এজাজের প্রশংসা করেছেন। আবার অনেকে বলছেন, আউট করা উচিত ছিল। জীবন ফিরে পেয়েও বেশিদূর এগোতে পারেননি মুমিনুল। ৩৭ রান করে গ্লেন ফিলিপসের বলে সাজঘরে ফিরে যান।