নিজস্ব প্রতিনিধি: সকাল থেকেই মরশুমের প্রথম ডার্বি নিয়ে দুই দলের সমর্থকের মধ্যে উন্মদনা ছিল দেখার মতো। হুগলি জেলার দুই বাসিন্দা নিজেদের প্রিয় দলের রঙে নিজেদের বাড়ি রাঙিয়েছেন। এরই মাঝে সকাল থেকে টিকিটের ছাহিদাও ছিল তুঙ্গে। ভিকি কৌশলের আসা আলাদা এক মাত্রা যোগ করে কলকাতা ডার্বিতে। কিন্তু এত উন্মাদনা সত্ত্বেও ডার্বির প্রথমার্ধ শেষ হল গোলশূন্য হয়েই। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ শুধুই নন্দকুমারময়। এই লাল-হলুদ তারকার গোলে আট বারের হারের খরা কাটিয়ে জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল।
এদিন শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল বেশ আক্রমণাত্বক ছিল। কার্লোসের ছেলেরা অনেক সুযোগ পায়। কিন্তু কোনওটাই গোল হিসেবে পরিণতি পায়নি। তবে মশাল বাহিনীর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের কোনও অভাব ছিল না। অন্যদিকে, মোহনবাগান শুরুটা মোটের ওপর ভাল করলেও প্রথমার্ধে যত সময় এগিয়েছে, ততই তাঁদের ছন্নছাড়া লেগেছে। যদিও তারাও কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু গোল হয়নি। এদিকে বাগানের লিস্টনকে অবৈধভাবে ট্যাকল করায় হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের খাবারা। ম্যাচের শুরুতেই ফ্রি কিক থেকে ভাল সুযোগ পান জর্ডন। কিন্তু তাঁর হেড সরাসরি লাগে বিপক্ষ দলের গোলকিপারের হাতে। সব মিলিয়ে প্রথমার্ধ গোলশূন্য হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জোড়া বদল করেন বাগান কোচ ফেরান্দো। হুগো বুমোসের বদলে দিমিত্রি পেত্রাতোস ও য়ার্মান্দো সাদিকুর বদলে প্রথম মাঠে নামেন জ্যাসন কামিন্স। কিন্তু জোড়া বদল ঘটিয়েও কোনও লাভ হয়নি মেরিনার্সদের। ম্যাচের বয়স যখন ৬০ মিনিট তখন নন্দকুমারের গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ক্রেসপোর পাস থেকে একাই আক্রমণের মেজাজে বল পায়ে এগিয়ে যায় নন্দকুমার। তারপর বিপক্ষকে এড়িয়ে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে দুর্দান্ত গোল করে মরশুমের প্রথম ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে জয়ের স্বাদ দেন নন্দকুমার।
এরপর গোল শোধ দেওয়ার চেষ্টা করে মোহনবাগান। কিন্তু সফল হয়নি। ৮৫ মিনিটের মাথায় নন্দকুমারকে তুলে নেন লাল-হলুদ কোচ কার্লোস। ম্যাচ শেষের দিকে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়। বল পায়ে এগোতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। ৬ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হলেও আর কোনও গোল হয়নি। অবশেষে নন্দকুমারের গোলে আট বছরের খরা কাটিয়ে জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল।