নিজস্ব প্রতিনিধি: দিল্লির বুকে ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়িয়ে খাপ পঞ্চায়েতের সভায় বসেন কৃষক নেতারা। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন নরেশ তিকায়াত সহ অন্যান্য কৃষক নেতারা। সেইখান থেকেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন এবার কুস্তিগীরদের সমর্থনে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করবেন।
কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়িয়ে যে খাপ পঞ্চায়েত সভার ডাক দিয়েছিলেন কৃষক নেতা নরেশ তিকাওয়াত। ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পুলিশের কাছে জানিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই না নিয়ে উল্টে কুস্তিগীরদের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার করছে। তারই প্রতিবাদে কুস্তিগীররা হরিদ্বারের গঙ্গায় পদক ভাসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু কৃষক নেতাদের অনুরোধে তা আপাতত স্থগিত রাখা হয়। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তা নিয়েও ওই খাপ পঞ্চায়েতের সভায় আলোচনা হয় বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
নরেশ তাকিয়াত বর্তমান বালান খাপের প্রধান নেতা। বৃহস্পতিবার যে মহা পঞ্চায়েতের সভা ডাকা হয়েছিল তাতে রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও দিল্লি থেকে খাপ নেতারা যোগদান করেছিলেন।
ওই মহা পঞ্চায়েতের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ঠিক হয় আন্দোলনরত কুস্তিগীরদের বিষয়ে সারা দেশে কিভাবে খাপ মহাপঞ্চায়েতের ভূমিকা কি হবে সেই বিষয়েও।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বজরং পুনিয়া, স্বাক্ষী মালিক ও ভিনেশ ফগতরা হরিদ্বারের হর কি পৌরি ঘাটে উপস্থিত হয়ে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিতে চাইছিলেন তাঁদের অর্জিত পদকগুলি। কিন্তু কৃষক নেতাদের অনুরোধে তাঁরা সেই কাজ থেকে বিরত থাকেন। এবং তাঁরা কৃষক নেতাদের কাছে পাঁচ দিন সময়ও দেন।
উল্লেখ্য, ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং, যিনি কুস্তি ফেডারেশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট তিনি বুধবার জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে সে ফাঁসিতে ঝুলতেও রাজি আছেন।
এখন দেখা যাক রাষ্ট্রপতি কবে কৃষক নেতাদের সময় দেন। সেই বৈঠকে এই আন্দোলনের স্থিমিত হওয়ার কোনও রূপরেখা তৈরি হয় কি না তা সময়ই বলবে।