নিজস্ব প্রতিনিধি: রেকর্ড পরিমাণ অর্থ দিয়ে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়রকে দলে টেনেছিলেন আল হিলালের কর্তারা। কিন্তু টানা তিন ম্যাচে ৩১ বছর বয়সী তারকা ফুটবলারের পারফরম্যান্সে কার্যত হতাশ তাঁরা। টানা তিন ম্যাচে কোনও গোল পাননি নেইমার। এমনকি শেষ দুই ম্যাচে সতীর্থদের গোল করানোর মতো বলও জোগাতে পারেননি। আর নেইমারের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের মূল্য চোকাতে হচ্ছে আল হিলালকে। বৃহস্পতিবার সৌদি প্রো লিগের নিচের দিকে থাকা দামাকের কাছেও আটকে যেতে হল।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই লিগ তালিকার নিচের দিকে থাকা দামাককে চেপে ধরে আল হিলাল। আক্রমণের পর আক্রমণ শানাতে থাকে। তার ফলও পায়। ৯ মিনিটেই প্রতিপক্ষের জালে বল গলান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ম্যালকম। তবে ওই গোলের পিছনে অবদান ছিল কাতার বিশ্বকাপে মেসিদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের হয়ে জয়সূচক গোল করা সালেম আল দাওসারির। বাঁ প্রান্ত দিয়ে অসাধারণ এক দৌড়ে দামাকের রক্ষণ এলোমেলো করে দিয়ে বক্সের মধ্যে বল ফেলেন তিনি। সেই বল ধরে ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন ম্যালকম। এগিয়ে যা-ওয়ার পরে আরও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল আল হিলাল। আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ ও নেইমাররা সুবর্ণ সুযোগ হারান।
প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া আল হিলাল দ্বিতীয়ার্ধে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে নামে। যদিও একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে গেলেও দামাকের দুর্ভেদ্য রক্ষণ ভাঙতে পারেননি মিত্রোভিচ-ম্যালকম-নেইমাররা। ৬৮ মিনিটের মাথায় আচমকাই এক প্রতি আক্রমণ তুলে এনে আল হিলালের রক্ষণে হানা দেয় দামাক। অসাধারণ এক ফ্রি–কিক থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান রোমনিয়ান ফুটবলার নিকোলা স্তানচিউ। গোল খাওয়ার পরে ফের দামাকের জালে বল গলানোর জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপায় আল হিলালের ফুটবলাররা। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত দামাকের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র রেখেই মাঠ ছাড়তে হয় নেইমারদের।