এই মুহূর্তে




বিশ্বকাপের ট্রফি শরীরে খোদাই করে চমকে দিলেন ভারতীয় অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর

নিজস্ব প্রতিনিধি: ৪৭ বছর পর বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বে নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পেয়েছে ICC ODI Women Worldcup। বিশ্বকাপ জিতে দেশের মহিলা বাহিনী প্রমাণ করেছেন যে, শুধু ছেলেরা নয়, মেয়েরাও পারে। এবং মেয়েদের হাতে হাতাখুন্তি সরিয়ে ব্যাটে-বল তুলে দিলে কী হতে পারে, সেটাই করে দেখিয়েছেন হরমনপ্রীত, স্মৃতি মান্ধানারা।  তাঁদের হাত ধরেই প্রথমবার মহিলাদের একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। যা দেশে ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ২ নভেম্বর মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে হরমনপ্রীতের ‘উইমেন ইন ব্লু’। এই জয়ের উন্মাদনা এখনও দেশ জুড়ে বহাল। আর এই আনন্দ আরও দ্বিগুণ করতে এবার বিশ্বকাপ ট্রফি চিরকালের জন্যে শরীরের মধ্যে খোদাই করলেন ভারতীয় দলের দুই স্তম্ভ তথা অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা। বিশ্বকাপ জয়ের ঠিক পরেরদিন, হরমনপ্রীত ট্রফি জড়িয়ে শুয়ে ফটোশ্যুট করেছিলেন।

তাঁর টি শার্টের পেছনে লেখা ছিল, ‘ক্রিকেট শুধু ভদ্রলোকেদের নয়, ক্রিকেট সবার খেলা’। হরমনপ্রীত এর এই ছবিটি গোটা সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় ফেলে দিয়েছি। এবার তিনি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফিটি ট্যাটুর আকারে নিজের বাঁ হাতে খোদাই করলেন। এবং সেই ছবি শেয়ার করতেই আবারও লন্ডভন্ড সোশ্যাল মিডিয়া। হরমনপ্রীতের হাতে এই ট্যাটুটি আবারও ইঙ্গিত দিল যে, এটি কেবল তাঁর জন্য নয়, বরং সামগ্রিকভাবে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের জন্য কতটা বড় জয়! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তরা ট্যাটুর ছবি দেখে সম্পূর্ণ বিস্মিত হয়েছেন। ভারতের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান এই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যাগ করে লিখেছেন, “আমার ত্বকে এবং আমার হৃদয়ে চিরকাল খোদাই করা। প্রথম দিন থেকেই তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম এবং এখন আমি প্রতিদিন সকালে তোমাকে দেখব এবং কৃতজ্ঞ থাকব।” তবে শুধু হরমনপ্রীত নয়, সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানাও তাঁর হাতের কনুইয়ের নিচে একই ট্যাটু খোদাই করেছেন। এবং তা ভিডিওতে দেখিয়েওছেন। বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম খুললেই ভারতের ঝাঁসির রানিদের একাধিক সাক্ষাৎকারে ভিডিও সামনে আসছে। যেখানে খেলোয়াড়রা তাঁদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জার্নি ভাগ করে নিয়েছেন। BCCI কর্তৃক প্রকাশিত একটি ভিডিওতে, হরমনপ্রীত শৈশবে তার ক্রিকেট যাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল, তা ভাগ করে নিয়েছেন।

 

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Harmann (@imharmanpreet_kaur)

তিনি বলেছেন, ‘ছোটবেলায়, যখন আমি পছন্দ-অপছন্দের বিষয়টা বুঝতে পারি, তখন থেকেই আমি সবসময় আমার হাতে ব্যাট দেখতাম। আমার এখনও মনে আছে আমরা বাবার কিট ব্যাগ থেকে ব্যাট নিয়ে খেলতাম। ব্যাটটা অনেক বড় ছিল। কিন্তু একদিন, আমার বাবা তার একটা পুরনো ব্যাট কেটে আমার জন্য ছোট ব্যাট বানিয়ে দেন। আমি সেটা দিয়ে খেলতাম। যখনই আমি টিভিতে কোনও ম্যাচ দেখতাম, ভারতের খেলা দেখতাম, অথবা বিশ্বকাপ দেখতাম, তখনই আমার মনে হত, আমার এমন একটা সুযোগের প্রয়োজন। যদিও সেই সময় আমি মহিলাদের ক্রিকেট সম্পর্কে জানতামই না। তখন আমি স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম যে, এই স্বপ্নটা এবার আমাকে পূরণ করতে হবে। শুধু ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা নয়, বরং মহিলাদের ক্রিকেটে পরিবর্তন আনতে হবে। আমি স্বপ্ন দেখছিলাম, কখন আমি এই নীল জার্সি পরব? তাই আমার মনে হয় এটা আমার কাছে অনেক কিছু, একজন তরুণী যে মহিলাদের ক্রিকেট সম্পর্কে জানত না, এখন সে ভারতীয় দলের অধিনায়ক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আর আমি একটাই কথা বলব যে, তোমার স্বপ্ন দেখা কখনও বন্ধ করো না। তুমি কখনই জানো না তোমার ভাগ্য তোমাকে কোথায় নিয়ে যাবে। তুমি কখনই ভাবতে পারবে না, কখন এটা ঘটবে, কীভাবে হবে। তুমি শুধু ভাব, এটা ঘটবে। তাই, আমার মনে হয়, এটাই ছিল আমার আত্মবিশ্বাস, যার ফলে এটি সম্ভব হল। এই মুহূর্তটির জন্য প্রায় বিষ বছর অপেক্ষা করেছি। ফাইনাল জেতা আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত আবেগঘন মুহূর্ত। কারণ, ছোটবেলা থেকেই এটি আমার স্বপ্ন ছিল। যখন থেকে আমি খেলা শুরু করেছি, তখন থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল একদিন বিশ্বকাপ জেতা। এবং স্বপ্ন ছিল যে, যদি আমি আমার দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাই, আমি এই সুযোগটি হাতছাড়া করতে চাই না।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিসিবির মহিলা ক্রিকেটের প্রধান হলেন ইউনূসের ‘ঘনিষ্ঠ বান্ধবী’ রুবাবা দৌলা

গুয়াহাটি টেস্টে গম্ভীরের ঝুলি থেকে বেরোবে কোন তির, শুরু চর্চা

প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসাবে মাইলফলক স্পর্শ করতে চলেছেন মুশফিকুর

অশোভন আচরণ, আইসিসির শাস্তির কোপে বাবর আজম

ইউনূস সরকারের ইন্ধনে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, বাংলাদেশ যাচ্ছেন না হরমনপ্রীত-রিচারা

বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার জন্য নেইমারকে ৬ মাস সময় বেঁধে দিলেন আনচেলত্তি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ