নিজস্ব প্রতিনিধি: রায়গঞ্জে পুলিশকর্মীকে গুলির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শীতল রায় ওরফে পাপনকে গ্রেফতার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ মেঘালয় থেকে পাপন সহ আরও দুই জনকে গ্রেফতার করেছে।ধৃতরা হলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার গোপাল কৃষ্ণ বিশ্বাস(শ্যালক), সুপর্না বিশ্বাস(পাপনের স্ত্রী)। মেঘালয় থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় এবং শনিবার সকালে তাঁদের রায়গঞ্জ আদালতে পেশ করা হয়েছে। আদালত ধৃত পাপন এবং তাঁর শ্যালক গোপাল কৃষ্ণ বিশ্বাসকে ১৪ দিনের পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি পাপনের স্ত্রী সুপর্নাকেও জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টম্বর রায়গঞ্জ থানার দেবীনগর এলাকার শিববাড়ি যাবার রাস্তায় সুজয় মজুমদার এবং তাঁর পরিবারের আরও দুজন সদস্য গুলিবিদ্ধ হন।ঘটনাস্থলেই সুজয়ের বোন দেবী সান্যালের মৃত্যু হয়।বাকি দুইজনের অবস্থা এখনও সংকটজনক।একজনকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এবং সুজয়বাবুকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনার মূল অভিযুক্ত পাপন রায় ওরফে সুজনের নাম জানতে পারেন। পুলিশ পাপনের দিদি জয়শ্রী দাসকে আগেই গ্রেফতার করেছে। তাঁকেও ১৪ দিনের পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছিল।এই মামলায় পুলিশ মূল অভিযুক্ত পাপনসহ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করল।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল মুল অভিযুক্ত পাপন রায়। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে যে সে মেঘালয়ের শিলং এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে আছে। এরপর সেখানে হানা দিয়ে গৌহাটি ও শিলংয়ের মাঝে রাস্তার ধারে একটি ধাবা থেকে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে পাপনকে রায়গঞ্জে নিয়ে আসা হয়। এদিন ধৃতদের রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হলে পাপন ও তাঁর শ্যালক গোপালকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত ও পাপনের স্ত্রীর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাপনের দিদি জয়শ্রী দাসকে ইতিমধ্যেই ১৪ দিনের পুলিশী হেফাজতে নিয়েছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।