এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

WEB Ad_Valentine



শহরে পা রেখেই বিতর্কিত মন্তব্য সুকান্তের



নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরেই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সুনজরে ছিলেন তিনি। সেই সুবাদেই হয়েছেন সাংসদ। আর এবার তো দলের রাজ্য সভাপতি। এখনও পর্যন্ত বড় কোনও বিতর্কে যেমন তিনি জড়াননি তেমনি কুকথা বলার রেওয়াজও তার নেই। তবে বসেছেন তিনি কাঁটার আসনে। তাই বোধহয় মঙ্গলবার সকালে কলকাতার বুকে পা রেখেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর সেই মন্তব্য রাজ্যজুড়ে নিন্দা তো ছড়িয়েছেই সেই সঙ্গে এটাও বুঝিয়ে দিচ্ছে দিলীপ ঘোষ পদ হারালেও তাঁর কুমন্তব্যের অভ্যাসটি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের মজ্জায় মজ্জায় ছড়িয়ে পড়েছে। এদিন সকালে কলকাতায় পা রেখেই সাংবাদিকসের সুকান্ত বলেন, ‘রাজ্যে তালিবানি শাসন চলছে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এটা চলছে। এটা আটকানোই আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ।’ তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরেই এখন নিন্দার বাণ ছুটেছে।

সুকান্তবাবুর অভিমত, বাংলায় আইনশৃঙ্খলার শাসন বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। এখানে নাকি আফগানিস্তানের মতো তালিবানি শাসন চলছে। সুকান্তবাবুর এহেন মন্তব্য তাই আমবাঙালির প্রশ্ন, এখানে যদি তালিবানি শাসন চলে তাহলে যোগী রাজ্যে কী চলছে আর সারা দেশেই বা কী চলছে? বাংলায় যদি তালিবানি শাসন চলতো তাহলে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল কী বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারতেন না বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে পারতেন? নাকি চন্দনা বাউড়ি বর থাকা সত্ত্বেও আরও একটা বিয়ে করে বসে থাকতে পারতেন? আসলে বিজেপি যেমন বাংলা আর বাঙালি বিদ্বেষী সুকান্ত মজুমদার নিজেও দেখিয়ে দিলেন, বুঝিয়ে দিলেন, জানিয়ে দিলেন, তিনি কতটা বাঙালি আর বাংলা বিদ্বেষী। সেই সঙ্গে তিনি এটাও বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ অতীত হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু যে বিদ্বেষ বিষ তিনি বঙ্গ বিজেপিতে রোপন করে গিয়েছেন তা পরবর্তী সভাপতিরাও সযত্নে বহন করবেন। তাই সভাপতি পদে যিনিই বসুন না কেন তিনি দিলীপের সুরে সুর মিলিয়েই বাংলা আর বাঙালিকে অপমান করে যাবেন, আর মুখ দিয়ে যা খুশি বলার সেটাও বলে যাবেন।

নতুন রাজ্য সভাপতি মনোনীত হওয়ার পর মঙ্গলবার সকালেই উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতা আসেন তিনি। কলকাতা স্টেশনে নেমেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বিজেপি সেই সংগঠন যারা একটা নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি মেনে চলে। ভারতীয় জনতা পার্টি যে ভাবে সংগঠন চালায়, তা নজির। তাই এই সংগঠন নিয়ে নতুন করে তাঁর ভাবনা চিন্তার কোনও প্রয়োজন নেই। এখন সংগঠন চালানোর লড়াই নয়, পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচানোর লড়াই করতে হবে। সমগ্র পশ্চিমবঙ্গকে আমি একসঙ্গে দেখতে চাই। এখানে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গের কোনও ভেদাভেদ নেই। আলাদা করে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ কিছু হয় না। আমি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ এরকম কোনও বিভেদ রয়েছে বলে আমার মনে হয় না।’ বাংলা সম্পর্কে এখন মুখে যতই ভালো ভালো কথা বলুন না কেন সুকান্তবাবুর আমলেও যে বিজেপি তার বাংলা আর বাঙালি বিদ্বেষ ছাড়বেন না সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল।



Published by:

Koushik Dey Sarkar

Share Link:

More Releted News:

মুণ্ডেশ্বরী নদী বাঁধে ধ্বস পরিদর্শনে বর্ধমানের জেলা শাসক

হুগলির তৈরি টোটো জাহাজে চেপে ঘানার পথে রওনা দিল

কংসাবতী নদীতে নৌকো চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে গ্রামবাসীদের অবরোধ

বঙ্গে এখন পর্যন্ত যা বৃষ্টি হয়েছে, ১৯৭৮ সালেও এত বৃষ্টি হয়নি

সুখবর, নভেম্বরে ১৩ দিন অফিসে যেতে হবে না সরকারি কর্মীদের

দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় বন্যা পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন নবান্ন

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর