এই মুহূর্তে




কৃষকদের সুবিধা প্রদানে ২টি বড় পরিবর্তন ঘটে গেল বাংলা শস্য বিমা যোজনাতে

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার কৃষকদের(Farmers of Bengal) পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) একদিকে যেমন কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু করেছেন তেমনি ফড়েদের দৌরাত্ম্য এড়াতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার কাজও শুরু করেছেন। এরই পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে শস্যহানি জনিত কারণে কৃষকদের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি রুখতে তিনি চালু করেছেন বাংলা শস্য বিমা যোজনাও(Bangla Sashya Bima Yojna)। সেই বিমা প্রকল্পের সুবিধা যাতে বাংলার সব কৃষকেরাই পান তার জন্য এবার এই প্রকল্পের নিয়মে বড়সড় এক পরিবর্তন ঘটালো রাজ্য সরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবার থেকে বাংলার যে কোনও জেলার, যে কোনও ব্লকের, যে কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের, যে কোনও মৌজায় যদি একজনও চাষির জমির ফসল ক্ষতি হয় তাহলেও তিনি সেই বিমার সুবিধা(Insurance Benefits) পাবেন, ক্ষতিপূরণ(Compensation) পাবেন। এতদিন মৌজা বা পঞ্চায়েত এলাকা ধরে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হতো। কোনও মৌজায় অল্প সংখ্যক চাষির ধান বা অন্য ফসল ক্ষতি হলে তিনি বা তাঁরা ক্ষতিপূরণ পেতেন না। এবার থেকে সেই নিয়ম আর থাকছে না।

আরও পড়ুন, বাংলার ২৮টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় ৪০ কোটির বরাদ্দ রাজ্যের

রাজ্যের কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলা শস্য বিমা যোজনায় যে নতুন বদল আনা হয়েছে তা চলতি মরশুম থেকেই লাগু করে দেওয়া হচ্ছে। এতে চলতি মরশুম থেকেই বিমার আওতায় থাকা কৃষকেরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। তবে সঙ্গে এই নিয়মও জুড়ে দেওয়া হয়েছে যে, ফসল ক্ষতি হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কৃষককে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরে জানাতে হবে। তারপর রাজ্যের কৃষি দফতরের আধিকারিক ও বিমা সংস্থার লোকজন জমি পরিদর্শন করবেন। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। ধান চাষের বিমা করার জন্য চাষিদের টাকা দিতে হয় না। ক্যাম্পে প্রয়োজনীয় নথি দিয়ে আবেদনপত্র জমা করলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। রাজ্যে এখন প্রতিটি জেলায় কৃষকদের বাংলা শস্য বিমা যোজনার আওতায় আনতে প্রচার শুরু হয়েছে। আপাতত ব্লকে ব্লকে থাকা কৃষি দফতরের অফিসে সেই বিমা প্রকলেপ যোগ দেওয়ার জন্য আবেদনপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। পরে পঞ্চায়েত এলাকাতেও ক্যাম্প করা হবে। রাজ্য সরকার চাইছে রাজ্যের প্রতিটি চাষিকে বিমার আওতায় আনতে।

আরও পড়ুন, মোদি সরকারের আদানি প্রেম, মুকুব ৪৫,৮৫৫ কোটি টাকার ঋণ

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে যোগদান করার জন্য, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র নেওয়া হবে। তবে পরে সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে। বৃষ্টি বা অন্য প্রাকৃতিক কারণে ফসল ক্ষতি হলে চাষিরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার থেকে আলুর বিমার জন্যও এক পয়সাও কৃষকদের খরচা করতে হবে না। আগে আলুর বিমা করতে অল্প কিছু টাকা চাষিদের দিতে হতো। সামনের মরশুম থেকে সেই টাকাও দেওয়ার দরকার হবে না। শুধু আবেদন করলেই চাষিরা বিমার আওতায় চলে আসবেন। আলু চাষে ক্ষতি হওয়ায় এবার চাষিরা প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। সেই টাকা পাওয়ায় চাষিদের বিমার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আগে চাষিরা অভিযোগ করতেন ফসল ক্ষতি হওয়ার পরও বিমার টাকা পাওয়া যায় না। আসলে কোনও মৌজায় অল্প পরিমাণ জমি ক্ষতি হলে বিমার টাকা পাওয়া যেত না। সেই সূত্রেই এবার রাজ্যের কৃষি দফতর সেই নিয়মও বদলে দিল।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নিউটাউনে জনবহুল এলাকার ফুটপাত থেকে রক্তাক্ত যুবককে উদ্ধার করল পুলিশ

বহরমপুরে ভাগিরথী নদী থেকে নিখোঁজ নার্সের দেহ উদ্ধার, এলাকায় উত্তেজনা

রাজ্যের সব Smart Panchayat’র সব বাড়ি পাবে Unique Identification Number

আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে আমজনতার সাহায্য চাইল সিবিআই

১০ বছরের সমস্যা মিটে গেল ১০ দিনেই, নেপথ্যে অভিষেক, জমির দখল পেল ১৬ পরিবার

বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপের জেরে বঙ্গে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর