এই মুহূর্তে




ওড়িশাতে আটকে পড়া ৩ শ্রমিককে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল দৌলতাবাদ থানা




নিজস্ব প্রতিনিধি,দৌলতাবাদ: ওড়িশার বালিকুদা থানার বালিশ্বর এলাকায় কাজ করতে গিয়ে ভাষাগত সমস্যার কারণে পুলিশের হেফাজতে আটক হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার দৌলতাবাদ থানার(Doulatabad P.S.) অন্তর্গত ঘাসিপুর গ্রামের তিন পরিযায়ী শ্রমিক। প্রশাসনের তৎপরতায় তারা সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় অবশেষে পরিবারের কাছে ফিরলেন, আর এই ঘটনায় পরিবার-পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তির বাতাবরণ ছড়িয়ে পড়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,ঘাসিপুর গ্রামের হামিদুল সেখ (পিতা – ইনাজুল সেখ), ইনাজুল সেখ (পিতা – জুব্বার সেখ) এবং রাব্বুল ইসলাম (পিতা – ইন্তাজ সেখ) গত ২৩ জুন সোমবার ওড়িশার(Odisha) বালিকুদা থানার(Balikuda P.S.) বালিশ্বর এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন। প্রায় এক সপ্তাহ কাজ করার পর স্থানীয় থানায় তাদের তলব করা হয়।

থানায় হাজিরা দিতে গেলে তাদের আধার কার্ড যাচাই করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, তবে পরদিনই মঙ্গলবার দুপুরে পুনরায় কাজের সাইট থেকে থানায় নিয়ে গিয়ে চার দিন ধরে হেফাজতে রাখা হয়।আটক শ্রমিকদের পরিবারের তরফে দৌলতাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে প্রশাসন তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাদের নিরাপদে বাড়ি ফেরাতে প্রশাসনিক পর্যায়ে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। রবিবার সকালে দৌলতাবাদ থানার তত্ত্বাবধানে তিনজন শ্রমিককেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই সময় মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের ডেপুটি সুপার হেডকোয়ার্টার তমাল কুমার বিশ্বাস, সদর সার্কেলের সি.আই প্রসেনজিৎ দত্ত এবং দৌলতাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক উদয় ঘোষ উপস্থিত থেকে তিনজনের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।এই ঘটনার পর ইনাজুল সেখ বলেন, “অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে কতটা সমস্যায় পড়তে হয়, আমরা নিজেরাই বুঝতে পেরেছি। বাংলা ভাষায় কথা বলায় আমাদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়েছিল। আমাদের সঙ্গে প্রায় শতাধিক শ্রমিককে আটক করা হয়, তার মধ্যে মুর্শিদাবাদেরই আটজন ছিল। প্রশাসনের সহায়তায় আমরা সকলেই বাড়ি ফিরতে পেরে খুব খুশি।”

রাব্বুল ইসলাম জানান, “দৌলতাবাদ থানা প্রশাসনের সহযোগিতা না পেলে আমরা এত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারতাম না। আমরা তিনজন থানার প্রতি কৃতজ্ঞ।”হামিদুল সেখ বলেন, “কাজের জন্য দূরে গিয়ে এমন সমস্যায় পড়তে হবে ভাবিনি। আমাদের মতো শ্রমিকদের যাতে আর এভাবে আটক হতে না হয়, তার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।”এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের ডেপুটি সুপার হেডকোয়ার্টার তমাল কুমার বিশ্বাস বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের। যে কোনও বিপদে আমরা মানুষের পাশে থাকি, এটাই আমাদের অঙ্গীকার। তাদের নিরাপদে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে ভালো লাগছে।”এই ঘটনায় দৌলতাবাদ থানা প্রশাসনের তৎপরতা ও মানবিক ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। গ্রামে ফিরে আসা শ্রমিকদের পরিবারের মধ্যে ফিরে এসেছে স্বস্তি ও আনন্দের আবহ।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তামান্নার গ্রামে হল পুলিশ ক্যাম্প, লাগানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা

জয়নগরের দক্ষিণ বারাসতে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হল বৈদ্যুতিক চুল্লি

ন্যাজাটে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার বিজেপি নেতা সহ ২

বুধবার নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ডে সরলেও সমুদ্র থাকবে উত্তাল, ৪ জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানিকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ ডালখোলা

ভরতপুরে জাল আধারকার্ড চক্র,পুলিশের জালে ২পাণ্ডা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ