নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড়সড় ভাঙন বিজেপিতে। গেরুয়া শিবির থেকে সংখ্যালঘু মোর্চার অবজারভার সহ ৬ সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। কোচবিহার জেলার সিতাই বিধানসভায় এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই দল বদল তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বহু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক।
কোচবিহার জেলার সিতাই বিধানসভায় ব্রহ্মত্তরচাত্রা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান কর্মসূচি ছিল বুধবার। এদিন সকাল থেকেই এই কর্মসূচি শুরু হয়। সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কের উপস্থিতিতে এদিন গেরুয়া শিবির ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখান বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের অবজারভার হজরত মিয়া। হজরত বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্যও ছিলেন। শুধু তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে বিজেপি ত্যাগ করেন বুথ সভাপতি ফজলু মিয়া, মোস্তফা মিয়া ও অশ্বিনী বর্মন সহ আরও কর্মী সমর্থকরা। সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে আসা নেতা কর্মীদের হাতে জোড়াফুল শিবিরের পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। হাতে দলীয় প্রতীক তুলে দিয়ে তাঁদেরকে সাদরে গ্রহণ করেন বিধায়ক।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটা বড় অংশ মনে করছে, সিতাই এলাকায় বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে কিছুটা বাড়তি শক্তি সঞ্চয় করল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দল বদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় এলাকায় বিজেপি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে যারা বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে শামিল হওয়ার জন্য দলবদল করেছেন তাঁরা।