নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে গত ৩-৪দিন ধরে নানা জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১৩-১৪জন মারা গিয়েছেন। এবার সেই তালিকায় যোগ হল এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের নামও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে মালদা জেলার সদর মহকুমার মোথাবাড়ি থানার রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াগ্রাম এলাকায়। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম কৈলাস চন্দ্র দাস। তাঁর পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী গীতা দাস এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার মোথাবাড়ি থানায় কর্মরত ছিলেন। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কৈলাসবাবু সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ইলেকট্রিকের মিস্ত্রিও ছিলেন। অবসর সময়ে তিনি তাই নানান জায়গায় ইলেকট্রিকের কাজও করতেন। শুক্রবার সকালে নিজের গ্রামে অন্যে এক ব্যক্তির বাড়িতে তিনি সেই ইলেকট্রিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। আর সেই সময়েই ঘটে দুর্ঘটনা।
জানা গিয়েছে, ইলেকট্রিকের কাজ করার সময় কৈলাসবাবু ছাদে উঠে ইলেকট্রিকের তার ছুঁতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যান। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেই জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকেরা ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদা গোপাল চন্দ্র দাস জানান, ‘আমার ভাই সিভিক ভলেন্টিয়ার কাজের পাশাপাশি ইলেকট্রিকের মিস্ত্রি ছিলেন। আজ সকালে গ্রামে কাজ করতে গিয়েছিল। সেখানেই ভাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। আমরা খবর পেয়ে ওকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও লাভ হল না। ভাইকে আর বাড়িতে ফেরাতে পারলাম না। ওর সংসারটাই ভেসে গেল।