নিজস্ব প্রতিনিধি: অভাবের সংসার। দু’বেলা ভাল করে খাবারটুকু জোটে না। তাই স্বামীর সঙ্গে ভিন রাজ্য থেকে মন্তেশ্বরে কাজ করতে এসেছিলেন তিনি। রবিবার সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গেই তিনি গিয়েছিলেন বাজার করতে স্থানীয় একটি হাটে। সেখান থেকে তাঁর স্বামী একটু আগেই চলে আসেন বাড়িতে রান্না করতে হবে বলে। অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও স্ত্রীকে বাড়ি না ফিরতে দেখে খোঁজ করতে বেরিয়ে পড়েছিলেন স্বামী। কিন্তু সারারাত খুঁজেও স্ত্রীকে পাননি। শেষে গ্রামের খালপাড়ের ধারে একটি ট্রাক্টরের ট্রলির নিচে তাঁকে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। বুঝতে পারেন স্ত্রীর চরম ক্ষতিই হয়ে গিয়েছে। ঘটনাটি গ্রামের বাসিন্দাদের নজরে আসতেও বেশি দেরী হয়নি। তাঁরাই খবর দেন পুলিশে। সেই ভিন রাজ্যের আদিবাসী গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় এখন জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানা এলাকার রাইগ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় ৫-৬জন লোক ওই গৃহবধূর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁর মুখ বেঁধে ওই অভিযুক্তরা তাঁকে গ্রামের পাশে খালধারে নিয়ে যায়। সেখানেই রাতভর তাঁকে গণধর্ষণ করে ৬জনে মিলে। ঘটনার জেরে ওই মহিলার এখন শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয়েছে যে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁরা ৩জনকে আটকও করেছে। তবে প্রকৃত দোষীরা এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় কিছুটা হলেও এলাকাবাসীর মধ্যে একটা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যদিও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) ধ্রুব দাস জানিয়েছেন, ‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত করা হচ্ছে। কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই দোষীরা চিহ্নিত হবে।’