নিজস্ব প্রতিনিধি: অব্যাহত জনসংযোগযাত্রা। তৃণমূলের ২ মাস ব্যাপী এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ABHISHEK BANERJEE)। কিছুদিন আগেই ৩ মহিলার দণ্ডি কাটা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। ওই তিন তৃণমূলকর্মীর সঙ্গে দেখা করলেন অভিষেক।
মঙ্গলবার তপনের চক সাতিহা গ্রামে যান অভিষেক। কথা বলেন ওই তিন মহিলার সঙ্গে। শোনেন তাঁদের কথা। আর এতেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ সাধুবাদ জানাচ্ছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে।
প্রসঙ্গত, দল পরিবর্তন করেছিলেন শিউলি মার্ডি, মার্টিনা কিস্কু, মালতী মুর্মু এবং ঠাকরণ সরেন। এঁদের মধ্যে মার্টিনা সহ দণ্ডি কেটেছিলেন ৩ জন। মার্টিনা বলেছিলেন, ভুল হয়েছিল। তা শোধরানোর জন্যই এভাবে আসা। তিনি আরও বলেন, কয়েকজন এসে জোর করে হাতে বিজেপির ঝাণ্ডা ধরিয়েছিল। তখন বাধ্য হয়েই তা করতে হয়েছিল। সেই অপরাধ বোধে সারা রাত ঘুমোতে পারেননি তিনি। তাই দণ্ডি। অভিযোগ, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে ৩ জন ১ কিলোমিটার দণ্ডি কেটে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে এসেছিলেন। ফের তাঁরা যোগ দিয়েছিলেন সবুজ শিবিরে। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। অভিযুক্ত ওই নেত্রী বলেছিলেন, ওঁরা বিবেকের দংশনে দণ্ডি কেটেছিলেন। ভুল বুঝিয়ে ওঁদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো হয়েছিল। তবে তা শুধরে তাঁরা তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। জানা গিয়েছিল, বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে দণ্ডি কেটে তাঁরা এসেছিলেন তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে (তপন)। ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিও। তবে বিষয়টি ভালো বাহবে নেয়নি সবুজ শিবির। কড়া সমালোচনা করেছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার।
এরপরেই গত ৯ এপ্রিল অভিযুক্ত নেত্রীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল জোড়াফুল শিবির। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছিল স্নেহলতা হেমব্রমকে। আদিবাসী মুখ এনে সবুজ শিবির প্রমাণ করেছিল, ‘বিদ্বেষী’ নয় দল। প্রসঙ্গত, স্নেহলতা যেই গ্রামের বাসিন্দা, সেই গ্রাম দত্তক নিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।