নিজস্ব প্রতিনিধি: জনসংযোগ যাত্রার প্রথম দিন ছিল মঙ্গলবার। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের (ABHISHEK BANERJEE) দ্বিতীয় সভা ছিল এদিন। কোচবিহারের সিতাই থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল যুবরাজ।
এদিন তিনি বলেন, বিএসএফের গুলিতে নিহত প্রেমকুমারের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপরেই অভিষেকের দাবি, কাশ্মীরে ছররা গুলি ব্যবহৃত হয়েছিল কোচবিহারে। জমায়েতের উদ্দেশ্যে অভিষেকের প্রশ্ন ছিল, বিএসএফের জুলুমবাজি থেকে সমাধান চাই কি না? দর্শক ও শ্রোতাদের মধ্যে থেকে সম্মিলিত প্রত্যুত্তর শোনা যায় ‘চাই’।
মঙ্গলবারের সভা থেকে তিনি বলেন, ‘নিজেদের প্রার্থী নিজেরা ঠিক করুন গোপন ব্যালট ভোটে’। বলেন, ভোট দিতে পারেন ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ নম্বরেও। আরও বলেন, প্রার্থী ঠিক করার এই ভোট দিতে গিয়ে যদি অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় তাহলে তাঁকে যেন সরাসরি ফোন করা হয়।
এদিন তাঁর নিশানায় ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। বলেন, ৯ বছর ধরে পদ আঁকড়ে ওঁ পড়ে আছে। অথচ একটা স্টেডিয়াম বা স্পোর্টস কমপ্লেক্স নেই এখানে। এরপরেই তাঁর দাবি, অথচ মুখ্যমন্ত্রী এখানে বারবার ছুটে এসেছেন।
তাঁর দাবি, পথশ্রী প্রকল্পে দিনহাটা থেকে সিতাইয়ে রাস্তা হচ্ছে। এই প্রকল্পে কেন্দ্রের ১০ পয়সাও নেই। বলেন, ১০০ দিনের টাকা থেকে আবাস যোজনা সহ বহু প্রকল্পের প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে। সেই বঞ্চনার জবাব দিতে- দিল্লি থেকে অধিকার ছিনিয়ে আনতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে জয়ী করার আবেদন জানান সবুজ শিবিরের তরুণ তুর্কী। এরপরেই বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘বহিরাগত প্রত্যখ্যান করুন’। তাঁর দাবি, ‘বহিরাগত আসে যায়, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। মঙ্গলবার অভিষেকের দাবি, তৃণমূলে নবজোয়ার মানে উন্নয়নের জোয়ার।