নিজস্ব প্রতিনিধি: চলছে ২ মাস ব্যাপী তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রা কর্মসূচি। মঙ্গলবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করলেন সভা, জনসংযোগ। হলো পার্থী পছন্দ করার ভোটও। তারপরেই কৌশল বদল করলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে সভা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (ABHISHEK BANERJEE)। তবে সভা আর জমায়েতের ‘দূরত্ব’ তাঁর না পসন্দ ছিল। এদিন কৌশল বদল করে রাস্তার দু’পাশের জনতার মাঝে মিশে গেলেন তিনি। রোড শো গাড়িতে না করে আগে মিশে গেলেন জমায়েতে। কথা বললেন স্থানীয়দের কাছে গিয়ে। খোঁজ নিলেন এলাকার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। বঙ্গ বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, একাধিক প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকাতে দিল্লি দরবার করে ওরা। মঙ্গলবার গঙ্গারামপুর থেকে অভিষেক বলেন, পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ভাবে ও নির্বিঘ্নে। বলেন, বালুরঘাট থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু ১০০ দিনের প্রাপ্য টাকা বাংলা না পেলেও তিনি কেন্দ্রকে তা চাননি। অভিযোগ, এলাকার জন্য কিছুই করেননি সাংসদ। আনেননি কেন্দ্রের বড় প্রকল্প। শুধু ব্যঙ্গ ও বিদ্রুপ করেছেন। সুকান্তের নাম না করে কটাক্ষ করে বলেন, আগে নিজের এলাকায় ৬ রাত কাটান তারপরে অন্য কথা হবে। এরপরেই বলেন, সব মনে রেখে যেন পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেন মানুষ।
এদিন তিনি বলেন, বিজেপি বাংলায় ভোটে হেরে ল্যাজে গোবরে হয়েছে। তাই বঙ্গবাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বিজেপি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলকে হারাতে না পেরে প্রাপ্য টাকা আটকে প্রতিশোধ নিচ্ছে বিজেপি। আরও বলেন, দিলীপ-সুকান্ত-শুভেন্দু বাবুরা তাঁকে রোজ ১০ টা করে গালি দেন। বলেন, ১০টার বদলে ২০টা করে গালি দিন কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রাপ্য টাকা ছেড়ে দিন।
উল্লেখ্য, গতকালের মতো এদিনও অভিষেকের সভায় উপস্থিত ছিলেন না ইসলামপুরের ‘অভিমানী’ তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরি। বিধায়কের অভিযোগ, অভিষেকের সভার কথা তাঁকে জানাননি দলের জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল। এই প্রসঙ্গে জেলা সভাপতির প্রতি অভিষেকের নির্দেশ, তিনি যেন নিজে বিধায়কের কাছে যান। নিজেদের সমস্ত সমস্যা যেন দ্রুত মিটিয়ে নেওয়া হয়। স্পষ্ট বার্তা দেন, কোনও দ্বন্দ্ব বরদাস্ত নয়। সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।