নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে হুমকি, বাড়ি ঘেরাওয়ের অভিযোগ তুলেছেন দলেরই একাংশের কাউন্সিলর। অভিযোগ, দুষ্কৃতী এবং মহিলাদের দিয়ে বাড়ি ঘেরানোর ‘চক্রান্ত’ করেন পুরপ্রধান। এমনকি প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন তাঁরা। দায়ের হয়েছিল অভিযোগ। শুধু তাই নয় দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (ABHISHEK BANERJEE) চিঠি লিখে অভিযোগও জানিয়েছিলেন তাঁরা। এও যেন ‘অনাস্থা’। এবার এই নিয়েই মুখ খুললেন তৃণমূলের মেদিনীপুর ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (MAMATA BANERJEE) ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত পিংলার বিধায়ক ।
খড়গপুর পুরসভার ‘ক্ষুব্ধ’ তৃণমূল কাউন্সিলররা নিজেদের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক করেছিলেন। গত বুধবার দুপুরে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার অফিসেও। সুজয় বলেছিলেন, ‘একাধিক অভিযোগ এসেছে খড়গপুর পুরসভার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। দলে আলোচনা শুরু হয়েছে। দ্রুত সমাধান হবে’। তবে প্রদীপ সরকার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। দু’ই সাংগঠনিক জেলার কো- অর্ডিনেটর অজিত বলেছিলেন, সর্ব ভারতীয় দলের জাতীয় এবং রাজ্য স্তরের নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবেন তাই হবে। তিনি বলেছিলেন, দল সকলকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চায়।
এরপরে এই বিষয় নিয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অজিত মাইতি। তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের বিশেষ ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে অজিত বলেন, মৌখিক ভাবে প্রদীপ সরকারকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ২ দিন আগে। তখনও তিনি কিছু জানাননি। এরপরেই অজিতের সাফ বক্তব্য, দল থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ওঁকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হল। যদিও প্রদীপ বলেন, তিনি কোনও নির্দেশ পাননি। খবর লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলেও।